ঘোলা পানিতে ঈদ কাটাবে বানভাসিরা!

কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক:
চারদিকে বানের জল কিছুটা নেমে যাওয়ায় ভেসে উঠেছে দিনমজুর আব্দুর রহমানের বাড়ি। কিন্তু সেখানে এখনও বসবাসের উপযোগী হয়নি। পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রেই থাকছেন আব্দুর রহমান। অন্যান্য বছরগুলোতে স্বজনদের বাড়ি থেকে কোরবানির মাংস আসলেও এবার সে আশাও নেই।

বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও হবিগঞ্জের বন্যাকবলিত বাড়িঘরগুলোর বেশিরভাগই এখনও ব্যবহার অনুপযোগী। ফলে আশ্রয়কেন্দ্রেই ঈদ উদযাপন করতে হবে সেখানকার বানভাসিদের। বাড়িছাড়া ঈদে আনন্দ নেই বরং ঈদের পরপরই আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়া নিয়ে বেড়েছে দুশ্চিন্তা।

স্থানীয় রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে বন্যাকবলিত ৬২ পরিবার। এবারের ঈদে মানুষের সাহায্যের দিকেই তাকিয়ে আছেন তারা। এরই মধ্যে ঈদের পরপর আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই ঈদের আনন্দের চেয়ে তাদের বড় দুশ্চিন্তা বাড়ি ফেরা নিয়ে।

সাম্প্রতিক বন্যায় পানিবন্দি হয় ৭ উপজেলার ৫৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। সরকারি হিসেবে ৩৪০টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও আছে ১৬ হাজার ৩০১ জন। হবিগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত প্রশাসক মিন্টু চৌধুরী জানালেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদের আগেই প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হবে ঈদ উপহার।

ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হচ্ছে বলেও জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।
যমুনা টিভি অনলাইন