চকরিয়ায় নির্বাচন কেন্দ্রীক সহিংসতায় ৮৬ জনকে আসামি করে দুই মামলা

চকরিয়া প্রতিনিধি :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত ২৮ নভেম্বর নির্বাচন কেন্দ্রীক দুইপক্ষের সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

দুইপক্ষের কাছ থেকে লিখিত এজাহার পাওয়ার পর তা যাচাই করে থানায় মামলা দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়। দুই মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ৫১ জনকে। আর অজ্ঞাত আসামি হয়েছেন আরও ৩৫ জন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে- পৃথক এই মামলায় বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা, একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ রাজনীতিতে পরিচিত অনেকের নাম রয়েছে।

আজ শনিবার থানায় রুজুকৃত মামলা দুটির বাদী হলেন সংঘাত-সংঘর্ষের সময় চোখে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া ঢেমুশিয়া ইুনিয়নের মোহাম্মদ হোছাইনের পুত্র মোহাম্মদ আইয়ুব।

তাঁর রুজুকৃত মামলার এজাহারনামীয় ৩০ জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাহারবিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হক, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছরওয়ার আলমসহ বেশ কয়েকজন।

অন্যদিকে সাহারবিল ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের সাইজঘোনা গ্রামের মুজিবুর রহমান সুজন বাদী হয়ে রুজুকৃত মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী, তাঁর ভাই বাদল মিয়া, সাহারবিল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাপ্পি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তানবিন ইসলাম সায়মন প্রমুখ।

পৃথক দুটি মামলা রুজুর সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘নির্বাচন কেন্দ্রীক দুইপক্ষের সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি লিখিত এজাহার পাওয়ার পর যাচাই শেষে তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়।

নির্বাচনী শান্ত পরিবেশ বজায় রাখতে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা নির্বাচনের শান্ত পরিবেশ অশান্ত করবে তাদেরকে ছাড় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।’

প্রসঙ্গত- গত ২৮ নভেম্বর সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী বাড়ির সামনে গিয়ে বাবাসহ তাকে নিয়ে কটূক্তিমূলক শ্লোগান দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। এর জের ধরে ঘটনার সূত্রপাতের পর ইউনিয়নের রামপুর স্টেশনে দুইপক্ষে সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এমনকি চেয়ারম্যান পক্ষের লোকজনের বাড়িঘরেও ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাটসহ তাণ্ডব চালানো হয়। এসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।