চকরিয়ায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি: নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

এ কে এম ইকবাল ফারুক,চকরিয়া •

কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক চিংড়িঘের ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ১৫-১৬ জনের সশস্ত্র ডাকাতদলের কয়েকজন সদস্য প্রথমে পাকা ঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে বাড়ির সদস্যদের জিম্মি করে ফেলে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা ভেতর থেকে বাড়ির দরজা খুলে দিয়ে তাদের অন্যান্য সদস্যদের ঘরে ডুকার সুযোগ করে দেয়। পরে তারা বাড়ির তিনটি কক্ষের আলমিরা ভেঙে নগদ ৩ লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় বলে দাবী করেন ডাকাত কবলিত বাড়ির গৃহকর্তা ব্যবসায়ী মো.মাহাবুব।

রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার পূর্ব ভেওলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডলনীঘোনা এলাকায় এ দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এদিকে ডাকাতির ঘটনার খবর শুনে সোমবার (১৮ জানুয়ারী) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) তফিকুল আলম ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যোবায়ের।

ডাকাত কবলিত বাড়ির গৃহকর্তা ব্যবসায়ী মো.মাহাবুব বলেন, রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ১৫-১৬ জনের স্বশস্ত্র ডাকাত দল আমার বাড়িতে হানা দেয়। প্রথমে কয়েকজন ডাকাত আমার পাকা ঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশের পর অস্ত্রের মুখে বাড়ির সদস্যদের জিম্মি করে ফেলে। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা ভেতর থেকে বাড়ির দরজা খুলে দিয়ে তাদের অন্যান্য সদস্যদের ঘরে ডুকার সুযোগ করে দেয়। সশস্র ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তিনটি কক্ষের আলমিরা ভেঙে নগদ ৩ লাখ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও বিভিন্ন সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।

পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার“ল আরিফ দুলাল বলেন, আমার ইউনিয়নে দীর্ঘদিন পর একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় সশস্ত্র ডাকাতদল তাদের বাড়ির তিনটি কক্ষের আলমিরা ভেঙে নগদ তিন লাখ ও তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে জানান বাড়ির গৃহকর্তা ব্যবসায়ী মো.মাহাবুব। পরে আমি বিষয়টি থানা পুলিশতে অবহিত করি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) তফিকুল আলমসহ পুলিশ ফোর্স নিয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি ডাকাতি হিসেবেই প্রতীয়মান হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো থানায় এজাহার দেয়নি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। লিখিত এজাহার পাওয়া মাত্রই তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে। ওসি আরও বলেন, ডাকাত দলের সদস্যদের সনাক্ত করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের একাধিক টিমও মাঠে অভিযানে রয়েছেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) তফিকুল আলম বলেন, ডাকাতির ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডাকাত দলের সদস্যদের দ্র“ততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ##