চকরিয়ায় যুবতীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ: মামলা

মোঃ কামাল উদ্দিন •

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের নোনাছড়ি ২নং ওয়ার্ড এর শাহসুফি মাজার এলাকায় পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে বসতঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় বুলবুল জান্নাত (২৭) নামে এক মহিলাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ওই মহিলা একই এলাকার বাসিন্দা মৃত ফয়েজ আহমদের পুত্র জৈনক আবুল হাসেম নামে এক ব্যাক্তিকে প্রধান আসামী করে কক্সবাজার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেছেন।

২৮ জানুয়ারী সৃষ্ট ঘটনার সময় উল্লেখ করে ভিকটিম মহিলা নিজেই বাদী হয়ে আবুল হাসেমকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর ৯ (৪) খ ধারায় নালিশী মামলাটি দায়ের করেন।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আবুল হাসেম ও তার ছোট ভাই শাহজাহান ভিকটিমের পরিবারকে হত্যার হুমকি সহ নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে ওই মহিলা সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন তিনি ও তার পরিবার। এদিকে ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম ও বেশ ক’জন এমইউপি সহ এলাকাবাসী।

ভিকটিমের মা জানান, ঘটনার দিন তার মেয়ে বসতঘরে বিকালে একাই ঘুমাচ্ছিল। এসময় তিনি ও ঘরের অন্যরা পার্শ্ববর্তী এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সুবাদেই সুযোগে অভিযুক্ত হাসেম ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি ও মারধরে ভিকটিম মহিলা গুরতর আহত হয়। এ সময় মেয়ের শোর চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আবুল হাসেম পালিয়ে যায় বলে তিনি জানান।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় ভিকটিমকে চকরিয়া উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় বলে অভিযোগে জানা গেছে।

ঘটনার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং মেয়ের বাবা তাকে অবহিত করলে, ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ দিয়ে আবুল হাসেমকে নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু নোটিশের থোয়াক্কা না করে হাসেম পরিষদে আসেনি বলে জানান।

চেয়ারম্যান আরো বলেন, আবুল হাসেম নামের ঐ লোক উশৃঙ্খল। এই ঘটনার আগে ও তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ আছে।

ঘটনার বিষয়ে হারবাং পুলিশ ফঁাড়ির আইসি পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মাহতাবুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে তিনি শুনেছেন এবং এ নিয়ে কক্সবাজার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে একটি নালিশী মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানতে পেরেছেন।

এদিকে কক্সবাজার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে দায়ের করা নালিশী মামলাটি বিজ্ঞ আদালত চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকের মোহাম্মদ যুবায়েরকে ঘটনা তদন্ত পুর্বক আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ করেছেন।