চিকিৎসার জন্য নদী সাঁতরে আসাম গেলেন বাংলাদেশী করোনা রোগী, অতঃপর…

অনলাইন ডেস্ক ◑  নিজেকে কভিড-১৯ রোগী দাবি করা এক বাংলাদেশী নাগরিক সাঁতরে নদী পাড় হয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জে পৌঁছেছেন। তিনি সেখানে চিকিৎসা পেতে গেছেন বলে দাবি করেছেন। এ ঘটনায় ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তে বেশ কয়েকটি গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

খবরে বলা হয়, আবদুল হক নামে ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাকে পরবর্তীতে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

করিমগঞ্জ থেকে ৫৩ কিলোমিটার পূর্বে শিলচরে বিএসএফ-এর ডেপুটি মহাপরিদর্শক জেসি নায়েক বলেন, “দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত কুশিয়ারা নদী সাঁতরে পার হন ওই বাংলাদেশী। তিনি রোববার সকাল সাড়ে ৭ টায় ভারতে প্রবেশ করেন। ভারতের অংশে গ্রামবাসীরা তাকে দেখলে থামিয়ে প্রশ্ন করে ও আমাদেরকে অবহিত করে।”

করিমগঞ্জ শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুবারাকপুর নামে একটি স্থানে এই ঘটনা ঘটে। সেখানে সীমান্তের বেশ খানিকটা অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই।

নায়েক বলেন, “এই ব্যক্তির জ্বর ছিল।

দেখে সুস্থ মনে হয়নি। তিনি অসংলগ্নভাবে কথা বলছিলেন। তিনি দাবি করছিলেন যে, তিনি কভিড-১৯ রোগী। ভারতে নদী পাড়ি দিয়ে এসেছেন চিকিৎসার জন্য।”
পরে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বিজিবিকে বিষয়টি জানায়। বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষ দু’টি নৌকায় করে ভারতের অংশে যায় আর সকাল ৯টার দিকে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে আসে।

নায়েক আরও বলেন, “ওই ব্যক্তি কভিড-১৯ রোগী কিনা, সেই বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণাই নেই। তবে এটি স্পষ্ট ছিল যে তিনি অসুস্থ ছিলেন। করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কারণে গ্রামবাসীরা তার কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিল। পরীক্ষার মাধ্যমেই তার প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।”

এই বিএসএফ কর্মকর্তা আরও বলেন, বর্ষাকালে কুশিয়ারা নদীতে বন্যা হয়। কিন্তু এখন নদীর পানি অনেক কম। সাতার জানা লোকের পক্ষে এই নদী পাড় হওয়া খুব কঠিন কিছু নয়।

তিনি যোগ করেন, “কভিড-১৯ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে আমরা সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করেছি যেন কেউই বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কাঁটা তারের বেড়া নেই। আমরা গ্রামে সচেতনতা কর্মসূচি চালিয়েছিলাম। এ কারণেই তারা আমাদের তৎক্ষণাৎ অবহিত করে।”