জুমার দিন যে কারণে হালাল হয়ে যায় হারাম

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেছেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
অর্থ: মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটি তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।’ (সূরা: আল জুমুআহ, আয়াত: ০৯, মদিনায় অবতীর্ণ)।

এটি আল্লাহ তায়ালার সরাসরি নির্দেশ জুমার নামাজ সম্পর্কে, অন্য নামাজে এই নির্দেশ নেই।

জুমার আজান যার কানে যাবে দোকানপাট সব কাজ বন্ধ করে তাড়াতাড়ি মসজিদে চলে যাবে। তখন বেচাকেনা করলে যদিও হালাল তরিকায় টাকা উপার্জন করো এটাও হারাম হয়ে যাবে। অনেকই এই মাসয়ালা জানে না। জানলেও সেটার গুরুত্ব উপলব্ধি করে না।

এই আজান যার যার কানে যাবে সঙ্গে সঙ্গে যদি মসজিদে না আসে তবে গুনাহে কবিরা হবে। বাজার করতে যায় গুনাহে কবিরা হবে, দোকান খোলা রাখে গুনাহে কবিরা হবে, মাল যে মেপে দেয় গুনাহে কবিরা হবে। যে নেয় তার গুনাহে কবিরা হবে।

অতএব, শুক্রবারের যখন জুমার আজান হবে সম্পূর্ণভাবে সব কাজ বন্ধ করে সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে আসতে হবে এটি আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ। এটি ওয়াজিব হুকুম, পালন না করলে গুনাহে কবিরা হবে।

ইয়া আল্লাহ তায়ালা! সব মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র জুমা সম্পর্কে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।