টেকনাফের পর্যটন স্পট পাহাড়গুলো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য, বাড়ছে অপরাধ!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •

প্রাকৃতিক দৃর্শ্যেঘেরা বিশ্বের শ্রেষ্টতম পর্যটন নগরী টেকনাফ উপজেলার বেশীর ভাগ পর্যটন স্পট গুলো এখন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের দখলে।

অনুসন্ধানে দেখাযায়, অত্র উপজেলায় মাদক পাচার অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ডাকাতি,খুন অপহরনসহ বিভিন্ন অপকর্মে সক্রিয় ভাবে লিপ্ত রয়েছে এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

এদিকে মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে দেশের জনগনকে রক্ষা করার জন্য সরকার নিত্য-প্রয়োজনীয় খাদ্য-সামগ্রী,ঔষধ ছাড়া গাড়ী,নৌ চলাচল, শপিংমল, হোটেল-মোটেল বন্ধ রাখার পাশাপাশি দেশের পর্যটন স্পট বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করে।

অবশেষে গত ১৯ আগস্ট থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কঠোর লকডাউন তুলে নেয় সরকার। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বিশ্বের শ্রেষ্টতম পর্যটন নগরী কক্সবাজার, প্রাকৃতিক দৃর্শ্যেঘেরা অপরুপ সৌন্দর্য্যের লীলাভুমি টেকনাফ-উখিয়া অবস্থিত পর্যটন স্পট গুলো দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আলিঙ্গন করার জন্য স্বস্থির নি:শ্বাস নিচ্ছে অত্র এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ী মানুষ গুলো।

অনুসন্ধানে দেখাযায়, টেকনাফের আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট গুলো বেশীর ভাগ পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত। অথচ এই পর্যটন স্পট গুলোতে এখন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আনাঘোনা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ২০ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের আকর্ষনীয় পর্যটন স্পট পাহাড়ি ঝর্ণায় গোসল করতে গিয়ে কলেজ পড়ুয়া আট যুবককে মুখোশধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে। এবং এক ঘণ্টার মত আটকে রেখে তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে এরপর তাদের ছেড়ে দেয়।

এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত হ্নীলা পানখালী ঢালাস্থল পাহাড়ি স্বপ্নপুরি নামক ঝর্ণা এলাকায়।

ঘটনার বিষয় নিয়ে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘পর্যটক সম্ভবনাময় স্পট পাহাড়ি স্বপ্নপুরি নামক ঝর্ণায় অনেকে বেড়াতে আসে। আবার অনেকে ঝর্ণায় গোসল করতে নামেন।

তারই ধারাবাহিকতায় ২০ আগস্ট (শুক্রবার) সকালে স্থানীয় কলেজ পড়ুয়া কয়েকজন যুবক ঝর্ণায় গোসল করতে নামেন। এসময় রোহিঙ্গা ডাকাতরা তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এতে কয়েকজন পালিয়ে আসলেও আট জনকে আটকে রাখে। পরে মারধর করে তাদের সাথে থাকা মোবাইলফোন ও টাকা লুট করে নিয়ে এক ঘণ্টা পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়।

তিনি আরো বলেন, দিন দিন রোহিঙ্গা ডাকাত দলের হাতে অপহরণের ঘটনা বাড়ছে। মুক্তিপণ না দিলে মেরে ফেলারও ঘটনা ঘটছে। তিনি পর্যটন এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানোর দাবি জানান।

ভিকটিমদের বরাত দিয়ে স্থানীয় মো. মাজেদ নামে এক যুবক স্থানীয় এক সংবাদকর্মীকে জানান, আমার ভাতিজা মিজান তার কলেজ বন্ধুদের সঙ্গে পাহাড়ি স্বপ্নপুরি নামক ঝর্ণায় বেড়াতে যান। সেখানে হঠাৎ অস্ত্রধারী পাহাড়ি ডাকাতরা তাদের ঘিরে ফেলে। এসময় তাদের কয়েকজন সহপাঠি পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তাদের মাধ্যমে জানতে পারি ভাতিজাসহ আরও কয়েকজন যুবককে ঘিরে রেখেছে ডাকাত বাহিনী। বিষয়টি জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করি। এক ঘণ্টা পর মোবাইলসহ টাকা লুট করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকিও দেয় ডাকাতরা।’

ঝর্ণায় অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে জানিয়ে টেকনাফ মডেল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান কক্সবাজার জার্নালকে বলেন, ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলার পর জানতে পারবো ঘটনার আসল রহস্য কি এবং উক্ত অপরাধে যারা জড়িত সেই সমস্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সন্ত্রাস দমনে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।