টেকনাফের সাধারণ মানুষ নানান সমস্যায় জর্জরিত!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল

কক্সবাজার জেলার সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত সীমান্ত নগরী টেকনাফ উপজেলা। এ উপজেলাকে ঘিরে রয়েছে নানা রকম রাজস্ব আয়ের মূল্যবান সম্পদ সমূহ।

যেমন বাংলাদেশ-মিয়ানমার রপ্তানী-আমদানী ক্ষ্যাত টেকনাফ স্থলবন্দর, লবণ,পান,সুপারী চিংড়িচাষ। এই উপজেলা থেকে সরকার প্রতি বছর আয় করছে কোটি,কোটি টাকার রাজস্ব।

অথচ এই উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষ গুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত। মাদক ও মানব পাচার, লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ও অবাধ বিচরন, শ্রমবাজার দখল, বহু বিবাহ,বাল্য বিবাহের হার বৃদ্ধি।

পৌর সড়কের দুইপাশ দখল করে অবৈধ দোকানপাট নির্মাণ, যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং ইত্যাদি। এদিকে সাবরাং থেকে শাহপরীরদ্বীপ প্রায় ৪ কিলোমিটার যাতায়াত সড়কের চিহ্ন পর্যন্ত নেই।

দীর্ঘ ৭ বছর ধরে শাহপরদ্বীপের ৪০ হাজার মানুষের চলাচলে কষ্টের শেষ নেই। টেকনাফ উপজেলা ঘুরে দেখা যায় বিগত কয়েক বছর ধরে টেকনাফে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গার বসবাস,মাদক পাচার,মাদক সেবনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে প্রতিনিয়ত বাড়ছে অপরাধ প্রবনতা! এতে দিনের পর দিন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থানীয় মানুষগুলো।

পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরনের কারনে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মাদক পাচার,মাদক সেবনসহ সংঘটিত হচ্ছে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায় মাদক বিরোধী চলমান যুদ্ধের মধ্যেও বিভিন্ন কৌশলে মাদক পাচার চালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। ইদানিং এই রোহিঙ্গারা মানব পাচারের মত ঘৃর্ন্য কাজেও সক্রিয় ভাবে জড়িত। এই অসাধু রোহিঙ্গাদের কারনে প্রতিনিয়ত বিপদগ্রস্থ হচ্ছে অত্র এলাকার সাধারন মানুষ।

এব্যাপারে টেকনাফের শিক্ষিত সমাজ,সুশীল সমাজ ও বৈধ পথের ব্যবসায়ীরা অভিমত প্রকাশ করে বলেন, যে সমস্ত অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ে টেকনাফের মানুষ নানান সমস্যায় জর্জরিত। সেই সমস্ত সমস্যা গুলো সমাধান করার জন্য বর্তমান এমপি শাহিন আক্তার ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি, উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম ও স্থানীয় প্রসাশন, জনপ্রতিনিধিদেরকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

তারা আরো বলেন,যে সমস্ত অপরাধীরা এখনো মাদক,মানব পাচারের মত ঘৃর্ন্য কাজে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য স্থানীয় আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে সহযোগীতা করলে খুব শীঘ্রই টেকনাফ উপজেলাবাসী মাদকের আগ্রাসন ও নানামুখি অপরাধ কর্মকান্ড থেকে মুক্তি পাবে মত প্রকাশ করেন তারা।