টেকনাফে ‘ক্লুলেস’ হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ডসহ ৬ জন ধরা

ডেস্ক রিপোর্ট :

কক্সবাজারের টেকনাফে টমটমচালক মোস্তাক মিয়াকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে মাস্টার মাইন্ড আব্দুর রহিমসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া ছিনতাই করা টমটম গাড়িটিও উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হল- মাস্টার মাইন্ড মো. আব্দুর রহিম (১৯), আব্দুল আমিন প্রকাশ পুতিয়া (১৬), ওমর ফারুক (২৪), ফরিদ আহমদ (৫০), সাদেকুর রহমান (২১) ও নুরুল আমিন (৪৩)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, গত ৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চের মধ্যে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে টমটম চালক মোস্তাক মিয়াকে হত্যা করে। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তায় বেঁধে টেকনাফের ইসলামাবাদ-অলিয়াবাদ ছোট হাজির বাগান কায়ুকখালী খালে ফেলে দেয়। ভিকটিমের চালিত টমটম ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১০ মার্চ কাটাবনিয়ার মোজাহার মিয়া (৩৫) বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। ঘটনাটি ছিল চাঞ্চল্যকর ও সূত্রহীন। এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মামলার তদন্তকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়া থানা থেকে প্রথমে টমটম ক্রেতা ফরিদ আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে টমটমটি জনৈক আব্দুর রহিম ও আব্দুল আমিন প্রকাশ পুতিয়ার থেকে ক্রয় করেছিল বলে জানায়। অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে টমটম গাড়িটি বিক্রয়ের ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তাকারী আসামি ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, তদন্তে জানা যায় ঘটনার দিন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি আব্দুর রহিম টেকনাফ উপরের বাজার মন্দিরের সামনে থেকে ভিকটিম মোস্তাক মিয়ার টমটমটি নিয়ে অলিয়াবাদ তিন রাস্তার মোড়ে জকিরের বাড়ির পাশে নিয়ে যায়। পরে আবদুর রহিম প্রথমে লোহার রড় দিয়ে ভিকটিমের মাথায় আঘাত করলে ভিকটিম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। আব্দুর রহিম ও আগে থেকে সেখানে অবস্থান করা আব্দুল আমিন ভিকটিমকে টমটমে করে কায়ুকখালী খালের পাশে খালি মাঠে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কাঁধে করে খাল পাড়ে নিয়ে প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে কাদা মাটি ভরে ভিকটিমের গলায় বেঁধে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে লাশ কায়ুকখালী খালের পানিতে ফেলে দেয়। গ্রেপ্তার আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।