বিপুল পরিমান অস্ত্র,গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার

টেকনাফে থেমে নেই ইয়াবা পাচার: ৮ মাসে নিহত ৬৫; আটক- ১২২১ মাদক কারবারি

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল

২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদক দিবস সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে সারাদেশের ন্যায় টেকনাফেও পালিত হচ্ছে মাদক দিবস। এদিকে মিয়ানমার থেকে আসা মাদক পাচার প্রতিরোধে কঠোর ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে টেকনাফে দায়িত্বরত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

মাদক কারবারীদের নির্মুলে চলছে মাদক বিরোধী চলমান যুদ্ধ। সেই যুদ্ধ থেকে নিজেকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে

ইয়াবা কারবারে জড়িত অপরাধীরা। তবে রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারীরা এখনো সক্রিয়।

টেকনাফ থানা পুলিশের সাঁড়াশী অভিযানে অনুসন্ধানে দেখা যায়, অন্ধকার জগৎ ছেড়ে আলোর পথ খুঁজছে। আবার অনেক ইয়াবা ব্যবসায়ী এখনও আইনশৃংলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে তাদের এই অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। তথ্য সুত্রে দেখা যায় বর্তমানে মাদকপাচার অব্যাহত রেখেছে রোহিঙ্গারা।

এদিকে মাদকের করাল গ্রাস থেকে বাংলাদেশের যুব সমাজকে বাঁচাতে মাদক পাচার প্রতিরোধ ও চিহ্নিত কারবারীদের নির্মুল করার জন্য সরকার ২০১৮ সালের মে মাসের শুরুতে সারাদেশে মাদক বিরোধী যুদ্ধ ঘোষনা করে। তারেই অংশ হিসেবে টেকনাফে শুরু হয় মাদক বিরোধী সাঁড়াশী অভিযান। থানা সুত্রে জানা যায়, মাদক বিরোধী চলমান এই যুদ্ধে টেকনাফ থানা পুলিশের অভিযানে বিগত ২৩/১০/১৮ সাল থেকে ২৬/৬/১৯ পর্যন্ত মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে ১২২১জন মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

উক্ত অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ১০ লক্ষ,১৮ হাজার,৮৫০পিচ ইয়াবা,দেশীয় তৈরী এলজি ২৫৯টি,বিদেশী পিস্তল ২টি,৭১৫ রাউন্ড তাজা গুলি, ৪০২ রাউন্ড গুলির খালীখোসা। এদিকে মাদক বিরোধী অভিযানে টেকনাফে পুলিশের সাথে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’এই পর্যন্ত ৬৫ জন মাদক কারবারী নিহত হয়েছে।

আবার গত ১৬ ফেব্রুয়ারী টেকনাফ উপজেলার ১০২জন চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী নিজের দোষ শিকার করে অন্ধকার জগৎ ছেড়ে আলোর পথে ফিরে আসার জন্য আত্মসমর্পন করেছে। কিন্তু এর মাঝেও ইয়াবা পাচার থেমে নেই। ইয়াবা কারবারে জড়িত অপরাধীরা বিভিন্ন কৌশলে স্থল পথ,নৌ পথ এবং আকাশ পথেও ইয়াবা পাচার অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ পাচারকারীরা আটকও হচ্ছে।

এব্যপারে টেকনাফের সু-শীল সমাজের ব্যক্তিরা অভিমত প্রকাশ করে বলেন,বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গর্ব কক্সবাজার জেলা পুলিশ এবিএম মাসুদ হোসেন ও প্রদীপ কুমার দাশ টেকনাফ মডেল থানায় যোগদান করার পর মাদক পাচার প্রতিরোধ ও কারবারীদের নির্মুল করার জন্য শুরু মাদক বিরোধী যুদ্ধ। এরপর থেকে শুরু হয় গায়েবী হামলা। একের পর এক ভেঙ্গে দেওয়া হয় অনেক মাদক কারবারী রাজ প্রাসাদ। এই সাঁড়াশী অভিযানের রোশানলে পড়ে অনেক কারবারী ফাঁড়ি দিয়েছে বিদেশে।

তাদের দাবী এখনো যারা ঘৃর্ন্য মাদক পাচারে জড়িত রয়েছে। তাদেরকে আইনের আওয়তাই নিয়ে এসে কোঠর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি চলমান অভিযানে যেন কোন নিরহ মানুষ হয়রানীর শিকার না হয় সেই দিকটা লক্ষ্য রাখার আহবান জানান তারা।