অস্ত্র,গুলি,ইয়াবা উদ্ধার

টেকনাফে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ‘মাদক কারবারী’ নিহত; ৩ পুলিশ আহত

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল

টেকনাফ থানা পুলিশের চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে এক মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে।

জানা যায়, ১১ এপ্রিল গভীর রাতে টেকনাফ থানা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে কাসেম নামে এক মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র,গুলি,ইয়াবা।

তথ্য সূত্রে আরো জানা যায়, টেকনাফ থানা পুলিশের চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ধারবাহিকতার অংশ হিসাবে হোয়াইক্যং পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার আনু মিয়ার পুত্র মাদক কারবারী আবুল কাশেম (৩২) কে আটক করার পর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক একই এলাকার পশ্চিম সাতঘরিয়া পাহাড়ী এলাকায় গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করার জন্য অভিযানে গেলে উক্তস্থানে উৎপেতে থাকা আটক আসামীর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে এতে এএসআই অহিদ উল্লাহ (৩৯), কনস্টেবল হাবিব হোসাইন (২৩),তুহিন আহমেদ (২২) ৩ সদস্য আহত হয়।

এরপর পুলিশও আত্বরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। তারপর হামলাকারীরা সু-কৌশলে পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২টি দেশীয় তৈরী এলজি, ৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৩ হাজার ৪শত পিস ইয়াবা ও গুলিবিদ্ধ কাশেমের দেহটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, আটক মাদক কারবারী ও সন্ত্রাসী কাশেমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গোপন আস্তানায় লুকিয়ে রাখা অবৈধ অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার করার জন্য অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগীরা আমাদের সদস্যদের উপর এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষন শুরু করে এতে ৩ জন পুলিশ আহত হয়।

পুলিশ সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির সংঘটিত হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার পর ঘটনাস্থল তল্লাশী করে দেশীয় তৈরী ২টি এলজি, ৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও বেশ কিছু ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এরপর গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকা কাশেমের দেহটি উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

মৃতদেহটি ময়না তদন্ত রিপেোর্ট তৈরী করার জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ।

এই ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার প্রক্রিয়া চলছে।