টেকনাফে মাদক পাচারের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সেবনকারীর সংখ্যা: ৭ জনকে ৬ মাসের সাজা!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •


টেকনাফ উপজেলায় হঠাৎ করে মাদক পাচার বৃদ্ধি ও মাদকাসক্ত ব্যাক্তিদের সংখ্যা বেড়েই চলছে!
পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা মরননেশা মাদকের আগ্রাসনের শিকার হয়ে উঠতি বয়সের যুবকরা মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনে লিপ্ত হচ্ছে।

এদিকে মাদক পাচার প্রতিরোধে অত্র উপজেলায় কর্মরত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক বিরোধী চলমান অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইদানিং মাদক ব্যবসায় জড়িত অপরাধী পাশাপাশি মাদক সেবনকারীদের সংখ্যাও বেড়েই চলছে। এদিকে মাদক পাচার প্রতিরোধ করার পাশাপাশি মাদক সেবনে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওয়তাই নিয়ে আসতে টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে কর্মরত সদস্যরা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে সাঁড়াশী অভিযান। গত কয়েক মাসে তারা প্রায় অর্ধ-শতাধিক নর-নারীকে ইয়াবাসহ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটক হওয়া বেশীর ভাগ মাদক বিক্রেতা মাদকাসক্ত।

তারই ধারাবাহিকতায় ১৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার)গভীর রাতে এবং ১৮ নভেম্বর (বুধবার) দুপুরের দিকে গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অফিসের কর্মরত সহকারী পরিচালক সিরাজুল মুস্তফা (মুকুল) ও পরিদর্শক দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য অফিসে কর্মরত সদস্যরা অত্র উপজেলার অন্তর্গত বেশ কয়েকটি খুচরা মাদক বিক্রয়ের আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে ৭জন মাদক সেবনকারী আটক করে। এরপর টেকনাফ সহকারি কমিশনার (ভুমি) নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবুল মনসুর কাছে নিয়ে গেলে তিনি ভ্রাম্যমান আদালতে তাদের সবাইকে ৬ মাস করে সাজা প্রদান করে।

সাজাপ্রাপ্ত মাদক সেবনকারীরা হচ্ছে,টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ডেইলপাড়া এলাকার মৃত জয় কুমার শীল’র পুত্র মনিরাজ কুমারশীল(৩২), একই ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড নতুন পল্লানপাড়া এলাকার হোছন আহাম্মদ’র পুত্র নুর কবির(৩৮), ৭নং ওয়ার্ড হাবিরপাড়া এলাকার মৃত মোঃ ইউনুছ’র পুত্র বাবু রশিদ(৩৬), টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড রসুলাবাদ এলাকার মৃত আব্দুল জাব্বার’র পুত্র রবিউল আলম(৫০), টেকনাফ পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ড কে কে পাড়া এলাকার আবুল কাশেম’র পুত্র দিলদার আলম(৪০), ২নং ওয়ার্ড পুরাতন পল্লানপাড়া এলাকার মোঃ হোসেন’র পুত্র ইমন হোসেন(২০), উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং চেরাংখালী এলাকার আব্দুল মোনাফের পুত্র জাফর আলম(৪০)।

অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, প্রতিমাসে ১০/১৫ জন মাদকাসক্ত ব্যাক্তি সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগ করছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ মাদকাসক্ত যুবক হচ্ছে হতদরিদ্র পরিবারের।

মাদকাসক্ত আটক ৪ ব্যাক্তির সত্যতা নিশ্চিত করে,
টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরে কর্মরত পরিদর্শক দেওয়ান মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান অভিমত প্রকাশ করে বলেন, ইদানিং টেকনাফ উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় মাদক পাচার বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।

অত্র এলাকা থেকে মাদক পাচার প্রতিরোধ করার জন্য, মাদক কারবারী ও সেবনকারীদের আইনের আওয়তাই নিয়ে আসতে টেকনাফ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মরত সদস্যরা কঠোর ভুমিকা পালন করতে সদা প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন ইতি মধ্যে ইয়াবা কারবারে জড়িত অনেক নর-নারীকে আটক এবং মাদক সেবনে জড়িত অনেক অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা প্রদান করে কারাগারে প্রেরন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। অত্র এলাকার সচেতন সমাজের ব্যাক্তিরা সঠিক তথ্য দিয়ে একটু সহযোগীতা করলে আমাদের মাদক বিরোধী অভিযানে আরো বেশী সফলতা আসবে বলে জানান তিনি।