টেকনাফে ‘যুবলীগ নেতা’ হত্যা মামলার আরো ২ আসামি পুলিশের গুলিতে নিহত

গিয়াস উদ্দিন ভুলু • কক্সবাজার জার্নাল

টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার পলাতক আরো দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।

তারা হচ্ছে, আব্দুল করিম (২৪) ও নেছার আহাম্মদ প্রকাশ নেছার ডাকাত (২৭)। তারা নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গা।

তথ্য সূত্রে জানা যায়,১৩ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে হ্নীলা জাদিমুরা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এই দুই ডাকাত নিহত হয়। এনিয়ে যুবলীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামী ডাকাত নুর মোহাম্মদ সহ সর্বমোট ৫ জন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হলো।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, যুবলীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার আসামীরা হ্নীলা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড জাদিমুরা এলাকায় চাইল্ড ফেন্ডলী স্পেস অফিসের পিছনে পাহাড়ের উপরে পানির ট্যাংকির নিচে অবস্থানের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নিজের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঐ এলাকায় অভিযানে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলি ছুড়তে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে এএসআই/কাজী সাইফ উদ্দিনসহ তিন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হলে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ডাকাতদের লক্ষ্য করে প্রায় ২৮ রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। উভয় পক্ষের কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর ডাকাত দলের সদস্যরা সু-কৌশলে পিছু হটে পাহাড়ের দিকে চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার পর ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ ২ ব্যাক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাদের পাশে পড়ে থাকা দেশীয় তৈরী ২ টি এলজি,৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ,এবং ৯ রাউন্ড কার্তুজের খালী খোসা উদ্ধার করে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকা দুই যুবক হচ্ছে, ১/আব্দুল করিম প্রকাশ করিম ডাকাত, (এমআরসি নং- ৪৫৯৫০) সে নয়াপাড়া রেজিষ্টার রোহিঙ্গা ক্যাম্প সি ব্লক এলাকার জমির আহাম্মদের পুত্র। ২/নেছার আহাম্মদ প্রকাশ নেছার ডাকাত(২৭) (এমআরসি নং- ৩৫১২২। একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের পুত্র।

তাদের নাম ঠিকানা গুলো ক্যাম্পের মাঝি ও সাধারন রোহিঙ্গাদের কাছ জানতে পারে পুলিশ। পরবর্তীতে গুলিবিদ্ধ হওয়া দুই ব্যক্তিকে রাত ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। সদর হাসপাতালে পৌছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুই জনকে মৃত ঘোষণা করে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর ভোরে ওমর ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামী রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ও ২৩ আগস্ট মো. শাহ, আব্দু শুক্কুরসহ সর্বমোট তিন আসামী উক্ত এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছিল। সংঘটিত এই ঘটনা গুলোর আগে গত ২২ আগস্ট রাতে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আব্দু মোনাফ কোম্পানীর ছেলে ওমর ফারুক কে নিজ বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম ভাবে গুলি করে তাকে হত্যা করে।