টেকনাফে সড়কের মধ্যেই একযুগ ধরে গর্জন : ঝুঁকিতে যানবাহন ও যাত্রী!

হুমায়ূন রশিদ, টেকনাফ:

টেকনাফে উপকূলীয় বাহারছড়া জাহাজপুরা এলজিডির প্রধান সড়কে একযুগ ধরে মৃত্যুরঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে আছে কয়েকটি বড় বড় গর্জন গাছ। যার ফলে ঐ স্থানে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা লেগে থাকলেও গাছ কেটে নেওয়ার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে দেখা যায়,উক্ত স্থানের উত্তর দিক থেকে প্রবেশ পথে দক্ষিণ শেষ পর্যন্ত গর্জন বাগানের ৭টি বড় বড় গর্জন গাছ প্রধান মাঝখানে দাড়িয়ে আছে। যার ফলে বিগত সময়ে সড়ক দূঘর্টনায় হতাহতের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। যা এখনো চলমান যানবাহন এবং যাত্রী সাধারণের প্রাননাশের হুমকির কারণ হয়ে দাড়িয়ে আছে।

প্রধান সড়ক হতে ঝুঁকিপূর্ণ এসব গাছ কেটে স্বাভাবিকভাবে যানচলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় যানবাহন চালকসহ সুশীল সমাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানিয়েছে।

স্থানীয় ডাক্তার মোঃ রফিক বলেন,এটি সবুজ পরিবেশে বন্য হাতির অভয়ারণ্য হলেও এই বাগানে প্রায় সময় সড়ক দূঘর্টনার পাশাপাশি ডাকাতি হয়। আঁকা-বাঁকা রাস্তার আর প্রধান সড়কের মাঝে সুবিশাল গর্জন গাছ থাকায় ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে হয়। এই সুযোগে ডাকাত-ছিনতাইকারীরা সর্বস্ব লুটে নেয়। তাই দূঘর্টনা এড়াতে সড়কের মাঝখানে থাকা গাছ কেটে নেওয়া দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

এই ব্যাপারে দায়িত্বরত রেঞ্জ কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম জানান,বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া রাস্তার মাঝখানে হলেও গাছ কাটার কোন ক্ষমতা আমাদের নেই। তবে সড়কের মাঝে গাছ থাকার কারণে স্বাভাবিক যান চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে বলে স্বীকার করেন। তিনি এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে গাছ কর্তনের পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।