টেকনাফ থানায় কোনো টাউট-দালালের স্থান হবে না- ডিআইজি

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •
সীমান্ত নগরী টেকনাফে মাদক পাচার প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার লক্ষ্যে পুণরায় নতুন কৌশলের কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে অত্র এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের অভিযানকে আরো জোরদার করা হচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতার সূত্র ধরে টেকনাফ থানাসহ কক্সবাজার জেলার কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যদের গনহারে অন্যত্র বদলি করে এক ঝাঁক নতুন পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত দুই বছর ধরে সরকার ঘোষিত চলামান মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে বহুল আলোচিত-সমালোচিত টেকনাফ থানার সাবেক বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপকাণ্ডে জর্জরিত টেকনাফের সাধারন জনগনের জানমালসহ সার্বিক শান্তি-শৃংখলা এবং গনমুখী কল্যান নিশ্চিত করার জন্য অত্র থানার দায়িত্বে থাকা সকল পুলিশের অন্য স্থানে বদলি করে নবাগত ওসিসহ প্রায় শতাধিক পুলিশকে নতুন ভাবে দায়িত্ব গ্রহন করেছে।

এদিকে সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ সদস্যরা কোন পরিকল্পনা নিয়ে অত্র এলাকার মাদক পাচার,সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করবে সেই দিক-নির্দেশনা দিতে ৩০ (সেপ্টেম্বর) বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে নব-নিযুক্ত ‘ডিআইজি’ আনোয়ার হোসেন টেকনাফ থানায় আসেন।

তিনি সংবাদ কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে জানান,
যে সমস্ত দালালরা পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারন মানুষকে হয়রানি করে এবং পুলিশের মাদক বিরোধী চলমান অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওয়তাই নিয়ে আসা হবে। থানা থাকবে টাউট,বাটপার ও দালাল মুক্ত।

তিনি আরো বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেয়ার অভিযোগ ছিলো টেকনাফ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

সারা দেশের থানাগুলোর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার শীর্ষে টেকনাফ মডেল থানা।
সাধারণ মানুষের থানায় আসার প্রয়োজন হলে অবশ্যই আসবে। তাদের অভিযোগ থাকলে জানাবে। এখন থেকে এই থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের একটা কাজ সাধারন জনগণের সার্বিক শান্তি-শৃংখলা ও কল্যান নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে অপরাধ ধমনে সঠিক ভাবে কাজ করবে পুলিশ। কক্সবাজার জেলায় নব-নিযুক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, আমাদের কাজ হবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে অত্র এলাকার মাদক পাচার ও অপরাধ নির্মুল করা।

টেকনাফ থানায় সদ্য নিযুক্ত ওসি হাফিজুর রহমানকে থানাকে সর্ব প্রথম টাউপ,বাটপার ও দালাল মুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের জের ধরে গত এক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিক ভাবে টেকনাফ থানাসহ কক্সবাজার জেলার সকল থানার পুরাতন পুলিশ সদস্যদের গনহারে রতবদল করার প্রক্রিয়া হাতে নেয় সরকার।
সেই সূত্র ধরে গত কয়েক দিনের ব্যবধানে জেলা পুলিশ সুপারসহ ১৫০৭ পুলিশ সদস্যকে নতুন ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে।