রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিপুল পরিমানে অস্ত্র ও ওয়াকিটকি উদ্ধার, নারীসহ আটক ৪

আবদুল্লাহ আল আজিজ ও ইমরান আল মাহমুদ, ক.জার্নাল •

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র,গোলাবারুদ, ওয়াকিটকিসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (১৪ এপিবিএন) সদস্যরা।

শুক্রবার(২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় ১৪ এপিবিএন কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন কক্সবাজারের ডিআইজি (এফডিএমএন) মো. জামিল হাসান।

তিনি বলেন,”বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এপিবিএন এর কাছে খবর আসে ক্যাম্প-৭ এ সন্ত্রাসী ছমি উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে অপরাধ সংঘটিত করার পরিকল্পনা করছে। সংবাদ পাওয়ার পর ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে টহল জোরদার করা হয়। ঘটনাস্থলে এপিবিএন সদস্যরা উপস্থিত হলে তাদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়ে। সরকারি সম্পদ রক্ষা ও আত্নরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গুলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। একই ঘটনার সূত্র ধরে সন্ত্রাসীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে রাতভর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে শুক্রবার(২৮ এপ্রিল) সকাল ৭টায় সন্ত্রাসী ছমি উদ্দিন দলবলসহ ক্যাম্প-৫ এর একটি ঘরে অবস্থানের খবরে অভিযান পরিচালনা করে ৪জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় সন্ত্রাসী ছমি উদ্দিন সহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।”

গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে ডিআইজি জামিল বলেন,” এপিবিএন’র অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলো,ক্যাম্প-২ এর বি-ডাব্লিউ ব্লকের মৃত মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে মো. জোবায়ের(২০),ক্যাম্প-৬ এর ডি-৮ ব্লকের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২৫),ক্যাম্প-৫ এর ডি-৮ ব্লকের জোবায়ের আহমদের মেয়ে মোসা বিবি(১৬) ও মৃত সালেহ আহমদের স্ত্রী জামিলা বেগম(৪৮)। এসময় তাদের থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, ৪টি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান,৩০টি চায়না রাইফেলের গুলি,২৭টি পিস্তলের গুলি,৫টি শটগানের কার্তুজ,৩টি খালি ম্যাগজিন,৪টি ওয়াকিটকি,৫টি মোবাইল ও একটি চাকু।”

ক্যাম্পে তল্লাশি চৌকি থাকার পরেও কিভাবে অস্ত্র,মাদক ক্যাম্পে প্রবেশ করে সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,”আমরা সবসময় চেষ্টা করি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে। ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গায় কৌশলে রোহিঙ্গারা কাটাতারের বেড়া কেটে বাইরে চলে যায়। অন্যদিকে, বিভিন্ন এনজিও সংস্থার বিতরণ কেন্দ্র ক্যাম্পের বাইরে হওয়ায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা আসা যাওয়া করে। এর ফাঁকে বের হওয়ার সুযোগ পায়। তবে তল্লাশি চৌকিতে বিভিন্ন সময় মাদক,অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি তার নজির রয়েছে।”

ব্রিফিংয়ে ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক সৈয়দ হারুন অর রশীদ,৮ এপিবিএন অধিনায়ক আমির জাফর সহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।