ফেসবুক কর্ণার

দলীয় নেতা-কর্মীদের আন্তরিকতার সাথে ডাকুন!

২০১৪ সাল আওয়ামীলীগের দলীয় নমিনি পেয়ে উখিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করছিলাম। নিজেকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলাম। ছাত্র রাজনীতির সময় কখনো নিজেকে মাদক সহ অন্যান্য অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত করিনি।

উপজেলা আর জেলায় ছাত্র ও যুব রাজনীতি করে দলের দুঃসময়ে বিশেষকরে উখিয়ায় বিশাল কর্মী বাহিনী সৃষ্টি সহ উখিয়া টেকনাফে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে গিয়ে কক্সবাজারে নিজের পরিশ্রমের ঘামে কেনা একখন্ড জমি, আর একটি বাড়ি বিক্রি ও কোটবাজারে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে রাজনীতি করেছি।

রাজনীতি করতে গিয়ে দলের আর বিরোধী দলের কোন মানব সন্তান কে সামান্য পরিমান ক্ষতি করলাম না কোন সময়।জাতীয় নির্বাচনে বার বার দলীয় প্রার্থীর জন্য নিজের পকেটের টাকা খরচ করেছি। সর্বশেষ গেলবার জাতীয় নির্বাচনে সাবেক এম পি কয়েকজনকে বলেছেন মাহবুব আমার কাছ থেকে নির্বাচনী খরচ না নিয়েই কাজ করেছে।

স্থানীয় নির্বাচনেও দলীয় প্রার্থীর জন্য সবসময় সোচ্চার ছিলাম। অথচ ২০১৪ ও ২০১৯ দু’বার উপজেলা নির্বাচন করলাম যাদের জন্য সারাজীবন কতকিছু করলাম তারা আমার জন্য কি করলেন উখিয়ার মানুষ স্বাক্ষী মহান সৃষ্টি কর্তা সব দেখেছেন।

সেদিন দু- একজনের কাছ থেকে সহযোগিতা আশা করছিলাম তাঁদের ১০০ ভাগের ৫ ভাগ সহযোগিতা পেলে ইনশাআল্লাহ রেজাল্ট ভালো করতাম। সাধারন নেতা-কর্মী ও মানুষ আমার পক্ষে ছিল। আমি চেয়ারে বসলে কয়েকজনের মাথা ব্যথা ছিল ব্যাস এতটুকুই।

সামনে রত্না পালং এ নির্বাচন হচ্ছে সেখানে ও কয়েকবার চেষ্টা করে ও আদিল ভাইকে একই অবস্থায় জেতাতে পারিনি। এবারও সেই একই অবস্থা দেখতে পাচ্ছি। আদিল ভাইকে নিয়ে ও কয়েকজনের মাথা ব্যথা আছে। তারা সর্বোচ্চ চেস্টা চালাবে।

রত্নায় এখন ও পর্যন্ত নীতি আদর্শবান নেতা বলতে আমি তাঁকেই মনে করি। আমি অতীতের মতো এবারও তিনি নৌকা পেলে উনার জন্যই নির্বাচন করবো।তবে একটা অনুরোধ থাকবে আদিল ভাইয়ের প্রতি।

উনি চেয়ারম্যান হলে যেন অন্যান্য পদ পদবীতে অন্যদের সুযোগ দিবেন। সব কিছুতে যেন নিজে দাড়িয়ে না যান। এই বিষয়ে উখিয়ার একটি পরিবারকে নিয়ে খুব বেশী কানাঘুষা চলছে। সেটা রাজনীতির জন্য অশনি সংকেত। সব খানেই এক পরিবার এটা শুদ্ধ রাজনীতির চর্চা হতে পারেনা। তাই রত্না বাসীর প্রতি দল মত ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে আবেদন থাকবে অন্তত এবার আদিল ভাই নৌকা পেলে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। বিশেষ করে রত্নায় যারা আওয়ামী রাজনীতিতে আছেন আপনারা দলের ও নিজেদের ইজ্জতের কথা একবার ভাবুন। আর কত মানুষ হাসাবেন। অতীতের কথা বাদ দেন।

সারাদেশেই আওয়ামীলীগের জয় জয়কার। রত্নায় আওয়ামীলীগ ঐক্যবদ্ধ হলে বিশেষ করে আদিল ভাইয়ের বেলায় নির্বাচিত হওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ। আর আদিল ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ আপনি দলের নেতা-কর্মীদেরর্মীদের আন্তরিকতার সাথে ডাকুন, কথা বলুন। আপনার আত্মীয় স্বজন দের ও ডাকুন কথা বলুন। ইনশাআল্লাহ রত্নায় দীর্ঘদিন পর হলে ও নৌকার চেয়ারম্যান পাবো। ঐক্যবদ্ধ হোন প্রিয় রত্না বাসী।

মাহবুবুল আলম মাহবুব
“সাংগঠনিক সম্পাদক ”
উপজেলা আওয়ামীলীগ
সাবেক “আহবায়ক”
উপজেলা যুবলীগ।
সাবেক “সাধারন সম্পাদক”
উপজেলা ছাত্রলীগ।