দুদকের মামলায় ইদ্রিস সিআইপির আরো ৫ দিনের রিমান্ড

ইমাম খাইর •

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলায় গ্রেফতার মোহাম্মদ ইদ্রিস সিআইপির আরো ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন।

পিবিআই এর জেলা কার্যালয় নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা দুদকের স্পেশাল মামলা নং ৬/২০২০ এর আসামি মোহাম্মদ ইদ্রিসকে গত ২ মার্চ গ্রেফতার করা হয়।

তিনি কক্সবাজারের কলাতলী সৈকতপাড়ার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে।

এর আগেও তাকে দুই দফায় রিমাণ্ডে নেয়া হয়েছিল।

দুদকের আইনজীবী মো. আবদুর রহিম জানান, দুদক চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপসহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম আরো ৫ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

তদন্তের স্বার্থে সার্বিক বিবেচনায় আসামি মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রকাশ ইদ্রিস সিআইপির জন্য আরো ৫ কর্মদিবস পর্যন্ত রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।

উল্লেখ্য, একই মামলায় কক্সবাজার আদালতের আইনজীবী নুরুল হক গত ২ মার্চ দুদক টিমের হাতে গ্রেফতার হন। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

আলোচিত মামলাটির অন্যতম আসামি হিসেবে কক্সবাজার এলএ শাখার সাবেক অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, বর্তমানে খাগড়াছড়িতে কর্মরত বিজয় কুমার সিংকে গত ১৫ মার্চ চট্টগ্রামের এমইএস কলেজ গেইট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে দুদক।

জানা গেছে, কক্সবাজারের কলাতলীর ঝিলংজা মৌজায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই) অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল.এ ০৪/২০১৮-১৯ইং নং মামলা মূলে বি.এস ১৭০৫০, ২০৩০৭, ২০৩০৬ ও ২০১৬৩ দাগের প্রায় এক একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের টাকা লোপাটে একটি সিন্ডিকেট গঠন করা হয়। যারা বিভিন্ন নামে-বেনামে প্রায় ২৮ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পায় বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা।

জমির প্রকৃত মালিকদের অভিযোগ, কৌশলে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের নামে-বেনামে ক্ষতিপূরণের চেক ইস্যু করে সরকারি টাকা আত্মসাতের সুযোগ করে দেন সরকারি কর্মকর্তারা।

শুধু তাই নয়, ভুক্তভোগিদের অভিযোগ আরো বিস্তর ও ভয়ানক।

তাদের দাবি, বাতিলকৃত খতিয়ান দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে চিহ্নিত জালিয়াতচক্র। জমি না থাকলেও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতাও পায় সরকারি তদন্ত সংস্থাটি। দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।