দূর্নীতি আড়াল করতে পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

 

হেশখালী প্রতিনিধি •


মহেশখালী-চকরিয়া কর্মরত পেশাদার কয়েকজন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নেমেছে সংঘবদ্ধ একটি দালাল চক্র।

চক্রটি নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করতে থানায় জিডি করেছে মর্মে অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ কম্পিউটার কম্পোজ করা একটি লেখা ইংরেজী অক্ষরে মাতারবাড়ী ইউনিটি নামে একটি ভূঁয়া পেইজবুক আইডি থেকে কম্পোজ করা পত্রটি ছড়িয়ে দিয়ে জনমনে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। আর এতে স্বাধীন সাংবাদিকতায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে মনে করছেন উপজেলার সাংবাদিক নেতারা।

মহেশখালীতে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সাংবাদিক আব্দু ছালাম কাকলি, হোবাইব সজীব, রকিয়ত উল্লাহ, কাইছার হামিদসহ অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনে একটি স্বার্থন্বেষী কুচক্রীমহল পরিকল্পিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোকাল নেটিজেনদের মাঝে ছড়িয়ে পড়া পত্রটি সংবাদ, অভিযোগ না চিঠি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকে। কারণ কম্পিউটারে সাধারণ কম্পোজ করা পত্রটি ভাষাগতভাবে গড়মিল রয়েছে।

তাছাড়া সরকারি যে দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে মর্মে পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে সে দপ্তরের প্রধান দুই কর্মকর্তা ওসি মো. আব্দুল হাই ও তদন্ত কর্মকর্তা আশিক ইকবাল অভিযোগের বিষয়ে অবগত নয় বলে সাফ জানিয়েছে। পাশাপাশি মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পস্কোর পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে পত্রে উল্লেখ করা হলেও কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।

তবে মহেশখালী থানার ওসি মো. আব্দুল হাই বলছেন, ‘থানার নাম ব্যবহার করে জিডি হয়েছে বলে বিভিন্ন ফেসবুক ভূয়া আইডি থেকে পোস্ট, কমেন্ট বা শেয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে পুলিশ তাঁদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে।

জানা গেছে, কথিত অভিযোগ পত্রে নেজাম উদ্দিন নামে চকরিয়ার যে পেশাদার সাংবাদিকের নাম ব্যবহার করা হয়েছে তিনি কখনো মহেশখালীতেই আসেন না। তাছাড়া ঐ সাংবাদিককে কক্সবাজারের দৈনিক আপন কন্ঠের প্রতিনিধি আখ্যা দিলেও সে আপন কন্ঠের প্রতিনিধি নয় বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও কথিত অভিযোগের সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগকারীকেও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে যড়যন্ত্রের শিকার ৫ সাংবাদিক।

সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন বলেন, এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমি দেশের সকল গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা চাই। তাঁদের বিরুদ্ধে এমন পরিকল্পিত অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বিভিন্ন সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান এসকল সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

মহেশখালী অনলাই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, এটি সংবাদ, অভিযোগ না চিঠি? যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকজন পেশাদার সংবাদকর্মীদের ব্যাপারে মানহানি করতে অভিযোগ হিসেবে ছড়ানো হচ্ছে কথিত অভিযোগ পত্রটি একটি চক্র। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।