ধোয়াপালং রেঞ্জে সাবাড় হচ্ছে পাহাড়, নিরব বনবিভাগ: প্রাণ গেলো যুবকের!

কক্সবাজার জার্নাল রিপোর্ট :

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জের আওতাধীন মরিচ্যা বিটের পশ্চিম মরিচ্যা ঢালার মুখ এলাকায় দেলোয়ারের নেতৃত্বে সাবাড় হচ্ছে পাহাড়। প্রতিনিয়ত গোয়ালিয়া,পশ্চিম মরিচ্যা সহ কয়েকটি এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কেটে বসতি তৈরি এবং দখল করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেলেও অদৃশ্য কারণে রেঞ্জ কর্মকর্তার নিরব ভূমিকায় রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ।

সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার(২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাহাড়খেকো দেলোয়ারের নেতৃত্বে পাহাড় কাটার শ্রমিক হিসেবে কর্মরত মোহাম্মদ আলম নামের এক রোহিঙ্গা মাটি চাপায় নিহত হয়েছেন। সে ক্যাম্প-১৭ এর সি ব্লকের মৃত আবুল কালামের ছেলে। নিহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানায় উখিয়া থানার ওসি(তদন্ত) নাছির উদ্দিন মজুমদার।

স্থানীয় প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে বনবিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে পশ্চিম মরিচ্যাপালং এলাকার খুইল্লা মিয়ার ছেলে দেলোয়ার বিশাল পাহাড় কেটে মাটি পাচার করে আসছিল। প্রতিদিনের মতো পাহাড় কর্তনকালে শুক্রবারে বিকালে পাহাড় ধ্বসে পড়ে ঘটনাস্থলে রোহিঙ্গা শ্রমিক মারা যায়।

পাহাড় কাটার সময় মাটিচাপা পড়ে রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনার ব্যাপারে জানতে ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় পেয়ে ফোনের সংযোগ কেটে দেন। পরে বার বার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে সহকারী বন সংরক্ষক(এসিএফ) মো. আনিসুর রহমান জানিয়েছেন,” পাহাড়ের মাটি চাপায় একজন নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ধোয়াপালং রেঞ্জের আওতাধীন এলাকায় ঘটেছে। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে অবৈধভাবে পাহাড় কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।”

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে পাহাড় কাটার সময় হঠাৎ পাহাড় ধসে পড়ে এক রোহিঙ্গা শ্রমিক নিহত হয়েছে। অবৈধ পাহাড় কাটা বন্ধ ও রোহিঙ্গা শ্রমিক ব্যবহার দুইটি অপরাধ, পাহাড় কাটা বন্ধ ও রোহিঙ্গাদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য বলা হলেও কেউ মানছেনা। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানা তিনি।