নাইক্ষ্যংছড়ির করোনা রোগী আইসোলেশন থেকে বাড়ীতে

মুফিজুর রহমান, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান)
করোনা সনাক্তের ১০ দিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরলেন নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের বাসিন্দা ৫৯ বছর বয়সী আবু ছিদ্দিক।

রবিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে নিজ বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন উজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এতে সার্বিক সহযোগিতায় করেন উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: আবু জাফর মোঃ ছলিম বলেন, রবিবার দুপুরে তৃতীয় বারের রিপোর্টটিও করোনা নেগেটিভ হয়েছে। বর্তমানে তাঁকে আমরা অনেকটাই সুস্থ বলতে পারি। তাই তাকে আমরা ঘরে ফিরিয়ে যাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করছি। তবে তিনি ঘরে গিয়ে আরো ৭দিন হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকার পর চতুর্থ বারের নমুনা সংগ্রহ করে ওই রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে তাকে চুড়ান্ত ভাবে সুস্থ বলে দাবী করা যাবে। তখন সে সমাজে চলাফেরা করতে আর কোন বাঁধা থাকবে না।

উল্লেখ্য, আবু ছিদ্দিক (৫৯) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়া বাসিন্দা। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ১৫ এপ্রিল। ১৬ এপ্রিল বান্দরবান জেলায় এই প্রথম নমুনার রিপোর্ট আসে পজেটিভ। একদিন পর নিয়ে আসা হয় সদর নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালের আসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। করোনা রোগী সনাক্তের পর তার এলাকার ৩৬ পরিবারকে লকডাউনে রাখা হয়। তার স্ত্রীসহ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাতে সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলার হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা আবু ছিদ্দিক জানান, আমি করোনার রোগী ছিলাম। দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আমাকে সঠিক চিকিৎসা দিয়েছেন এবং অধিকতর সেবা করেছেন বলেই আমি আজ মোটামোটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।

চিকিৎসকের পরার্মশ অনুযায়ী করো সাথে সংস্পর্শ না হয়ে সাতদিন যাবত থাকার ওয়াদা করছি। আর আইসোলশনে থাকা অবস্থায় চিকিৎসকরা খুব সেবা দিয়েছেন, তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কামনা করি।