নাম: মরিয়ম জারা (পরি)

পাগলীর সেই শিশুটি পেলো নতুন ঠিকানা: পিতা-মাতা এখন এমপি দম্পতি

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ

টেকনাফে মানসিক রোগী পাগলীর প্রসব করা সেই অবুঝ শিশুটির পিতা-মাতা এখন উখিয়া-টেকনাফের এমপি দম্পতী।

উখিয়া-টেকনাফের সাংসদ শাহীন আক্তার ও তাঁর স্বামী সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি তাদের ঘরে অথিতি হয়ে আসা কন্যা শিশুটির নাম রেখেছেন মরিয়ম জারা প্রকাশ (পরি)
আজ সকালে টেকনাফ পৌরসভায় এমপি দম্পতী পরিচয়ে জন্মনিবন্ধন ফরম করা হয়েছে।

এদিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানসিক রোগী সেই গর্ভধারিনী ‘পাগলী মা’ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

সূত্রে জানাযায়, ২৪ অক্টোবর গত শনিবার সকালে উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া শীলখালী এলাকায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর প্রসববেদনা দেখে এলাকার দায়িত্বরত চৌকিদার শহিদ উল্লাহ টেকনাফ থানায় খবর দেন। এরপর স্থানীয় জনগনের সার্বিক সহযোগিতায় টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয় গর্ভবতী পাগলী মাকে। এরপর বিকেলের দিকে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান প্রসব করে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.টিটু চন্দ্র শীল জানান, হাসপাতালের চিকিৎসক এবং কর্তব্যরত নার্সের সহযোগিতায় সন্তানটি প্রসব করার কাজ সম্পন্ন করা হয়।

মা ও শিশুটি সুস্থ আছে। কন্যা শিশুটিকে লালনপালন করার জন্য সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি বাড়িতে নিয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, কন্যা শিশু প্রসব করা মানসিক রোগী পাগলী নারীটি উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া শামলাপুর শীলখালী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সব সময় ঘুরে বেড়াতেন। এর মধ্যে গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি।

মানসিক রোগী থেকে সন্তান প্রসবের খবর ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সচেতন মহলের মাঝে হতাশার অবতারণা হয়।

পাশাপাশি পিতাহীন এই শিশুটিকে নিজ সন্তানের পরিচয়ে মানুষ করার জন্য বর্তমান এমপি শাহিন আক্তার ও সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির তত্ত্বাবধানে নিয়ে যাওয়ার খবরে এমপি দম্পতীকে মানব দরদী ফেরিওয়ালা হিসাবে উপাদী দিয়ে স্ব-স্ব ফেইস বুক থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সাধুবাদ জানান।

এব্যাপারে সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি অভিমত প্রকাশ করে বলেন আমরা স্বামী-স্ত্রী অভিভাবকহীন এই শিশুটিকে নিজ সন্তানের মত করে লালন পালন করবো। তাকে আমরা বুকে আগলে রেখে উচ্চ-শিক্ষায় শিক্ষিত করে সমাজে প্রতিষ্টিত করবো।