পাহাড়ের ঢালে পড়ে আছে ধর্ষণ মামলার আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ

ডেস্ক রিপোর্ট – আনোয়ারায় কেইপিজেডের নারীকর্মী ধর্ষণ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আবদুন নুরের লাশ মিলেছে চায়না ইকোনমিক জোন সংলগ্ন পাহাড়ের ঢালে। নিহত আবদুন নুর আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে।

সে গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী বলে জানিয়েছে পুলিশ।রবিবার সকালে আনোয়ারা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করে। তবে কিভাবে সে মারা গেল, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘ইকোনোমিক জোনের পাহাড়ের ভেতর থেকে ধর্ষণ মামলার আসামি আবদুন নুরের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আবদুন নুরের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা রয়েছে।

প্রসঙ্গত,  গত বুধবার (৩ জুলাই) রাতে আনোয়ারা ইপিজেডের একটি জুতা কারখানায় কাজ শেষে চন্দনাইশের নিজ বাড়ী ফেরার পথে কালাবিবি দীঘি চায়না ইকোনোমিক জোন এলাকার ধর্ষিত হন এক তরুণী। এ ঘটনায় সিএনজি চালকসহ ৪জন জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য পায় পুলিশ।

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মেয়েটি পাঁচমাস ধরে একটি জুতার ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিকের কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

শুক্রবার রাতে চাতরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৪ অভিযুক্তের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করে। তারা হলেন আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকার আনোয়ারা হোসেনের পুত্র সিএনজি চালক মো মামুন (১৮) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ ছনহরা গ্রামের আবদুল গফুরের পুত্র হেলাল উদ্দীন (২৮)। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীকে দু’জনই প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে আবদুন নুরের নাম জানায়। আবদুন নুরের সাথে তার আরেক বন্ধু মোহাম্মদ শহীদও ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে তারা তথ্য দেয়।