ফের ডাকাতির আতঙ্কে ভারুয়াখালীবাসী

সাইফুল ইসলামকক্সবাজার জার্নাল

কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নে ফের ডাকাতি ও সন্ত্রাসীর আতঙ্কে এলাকাবাসী। সম্প্রতি ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন মানুষ। সন্ধ্যা নামার পরপরই মানুষের মনে ভয় কাজ করে কখন জানি ডাকাত এসে সব নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানান, আমাদের তো এখন ঘুম নেই। সন্ধ্যার পর থেকেই ভয়ে থাকি কখন ডাকাত আসে। ইতোমধ্যেই ডাকাত দল গত ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার গভীর রাত ৩ টার দিকে ভারুয়াখালী ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া এলাকায় আব্দু শুক্কুরের বাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতি করছে। তখন ওই বাড়িতে থাকা মো. কায়সারকে অস্ত্র ঠেকিয়ে বেদড়ক মারধর করে এবং সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। যখন ডাকাতি সংঘঠিত হচ্ছে তখন ওই বাড়ির আশপাশে ডাকাত দলের অস্ত্রের ভয়ে কেউ আগাতে পারেনি।

পরে স্থানীয় এগিয়ে এসে দেখে পরিবারের সবাই বাধা এবং কায়সার রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরে স্থানীয়রা আহত কায়সারকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ভর্তি দেন। বর্তমানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এলাকাবাসী দ্রুত পুলিশকে অবগত করলে ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গঠনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে আহত কায়সারের ছোট ভাই রুবেল বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখিত ১নং আসামী রবিউল আলম ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে জানা যায়।
ডাকাতির বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন ওই এলাকার (৮নং ওয়ার্ডের) ইউপি সদস্য মো. ইসলাম।

তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ডাকাতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক। বিশেষ করে গত ১১ সেপ্টেম্বর দিনের বেলায় ভারুয়াখালীর শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত সরওয়ারকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ। তাই তার সহযোগিরা ফের এলাকায় আতঙ্কে হয়ে উঠেছে বলে জানান এলাকাবাসী। প্রতিনিয়তেই ভারুয়াখালী এলাকায় টহল পুলিশ জোরদারের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহলের। ।

সচেতন মহলের দাবি, ভারুয়াখালীতে যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ঠিক না থাকায় প্রতিনিয়তেই ডাকাতিসহ নানা অপরাধ লেগেই আছে। বিশেষ করে ওই ইউনিয়নটি সদরের আওতায় হলেও সদর থানা ও ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রে থেকে দূরবর্তী হওয়ায় ভারুয়াখালীতে ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ হয়ে থাকে।

ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রর ইনর্চাজ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের রবিউল আলম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার (ওসি তদন্ত) মো. কায়রুজ্জমান জানান, রবিউল আলম নামে একজনকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত ১২ জনের বিষয়ে একটি এজাহার পেয়েছি। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।