বাঁকখালী নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলনের প্রতিযোগিতা চলছে!

নিজস্ব প্রতিবেদক •


রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ও সদরের খরুলিয়া পয়েন্টে বাঁকখালী নদী ৫টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতা চলছে।

এর ফলে ৫ শতাধিক পরিবারের ভিটা সহ হাজার হাজার পরিবারের একমাত্র চলাচলে রাস্তাটি বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।ড্রেজার দিয়ে বাঁকখালী নদীর দুই পাশ দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দুইপাশের ফসলি জমি ও বসতবাড়ি বিলীন হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রামের বাসিন্দাদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বাঁকখালী নদীর সদরের খরুলিয়া পয়েন্টে নদীতে একাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে একটি বালি খেকো সিন্ডিকেট।এই বালি খেকো সিন্ডিকেটের কয়েকজনের নাম উঠে আসে,তারা হলেন খরুলিয়ার জাহাঙ্গীর ও দরগাপাড়ার খোরশেদ।
অপরদিকে বাঁকখালী নদীর রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি পয়েন্টে নদীতে একাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যে বালি উত্তোলন করছে আজিজুল হক প্রকাশ দুদু মিয়া মেম্বার ও তার ভাই শহিদুল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিঠাছড়ির স্হানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, বর্তমান সরকার জনগণের ক্ষতি করে উন্নয়ন করে না।বাঁকখালী নদী থেকে বালি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কিভাবে প্রকাশ্যে দুদু মিয়া মেম্বার ও তার ভাই শহিদুল একাধিক ড্রাজার বসিয়ে নদী থেকে বালি উত্তোলন করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।রাতদিন দুদু মিয়া মেম্বার এর বালি খেকো সিন্ডিকেট নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করলেও প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছেনা।

অন্যদিকে বাঁকখালী নদীর দরগাপাড়া ও খরুলিয়া পয়েন্টে জাহাঙ্গীর ও খোরশেদ নামের দুজন বালি খেকো ড্রাজার বসিয়ে নদী থেকে বালি উত্তোলনের প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে।রাতদিন নদীতে ড্রাজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে শত শত ডাম্পার গাড়ি দিয়ে বালি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

খরুলিয়া ও দরগাপাড়ার স্থনীয় কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই বালি খেকোরা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ও বাঁকখালী থেকে বালি উত্তোলন করার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বেশি লাভের আশায় জনগণের ক্ষতি করে লোকালয়ের কাছাকাছি স্থান থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে। নদীর আশপাশের ঘরবাড়ির লোকজন ও ফসলি জমির মালিকরা ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন না করতে বারবার নিষেধ করলেও তা কর্ণপাত করছে এই বালি খেকোরা। অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে জানতে দুদু মিয়া মেম্বার এর মুঠোফোনে কল দিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে অর্থের লোভ দেখিয়ে আপোষে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হোন।

এবিষয়ে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা বলেন,আমরা ইতিমধ্যে জানতে পারছি নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে,খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে বালি উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হবে।এর আগেও আমরা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ড্রেজার জব্দ করেছি,এবং অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।