বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নাকরি’

ডেস্ক রিপোর্ট • ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ আঘাত এখনও কাটিয়ে উঠেনি দেশ। এরইমধ্যে বঙ্গোপসাগর অভিমুখে ধেয়ে আসছে নতুন ঘূর্ণিঝড়। যেটির নাম দেয়া হয়েছে ‘নাকরি’।

‘নাকরি’র বর্তমান অবস্থান জানিয়ে এরইমধ্যে সতর্ক বার্তাও জানানো হয়েছে। তবে নাকরি কবে নাগাদ বাংলাদেশে আঘাত হানবে তা এখনও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।

ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শক্তিশালী ‘নাকরি’ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর দিক ও উড়িষ্যা উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে প্রথমে আঘাত হানবে। একইসময়ে চেন্নাই ও উত্তর তামিলনাড়ুতেও আছড়ে পড়বে। শেষ দিকে ধেয়ে আসবে বাংলাদেশের দিকে।

ঘূর্ণিঝড় ‘নাকরি’ কতটা ক্ষতিসাধন করতে পারে তা জানতে গেল ৮ নভেম্বর থেকে স্যাটেলাইট ম্যাপিং সিস্টেম চালু করেছে ইউরোপিয়ান কমিশন।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ চীন সাগরে মাতমো নামক ঘূর্ণাবর্ত থেকে বুলবুলের সৃষ্টি হয়েছিল। একই উৎপত্তিস্থলে অর্থাৎ এখন দক্ষিণ চীন সাগরে বিরাজ করছে ঘূর্ণাবর্ত নাকরি। এ মুহূর্তে ‘নাকরি’ যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ভিয়েতনামের দিকে এগোচ্ছে।

ইতোমধ্যে ভিয়েতনামের আবহাওয়া অধিদফতর সতর্কবার্তা হিসেবে দেশটির পূর্ব ও উত্তরাংশে ভারি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

ধারণা করা হচ্ছে, থাইল্যান্ড অতিক্রম করে মিয়ানমার হয়ে পার্শ্ববর্তী বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানবে ‘নাকরি’।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আগাতে সারা দেশে ২৩ জনের প্রাণহানিসহ ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে সারা দেশে ৭২ হাজার ২১২ টন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ২৬৩ কোটি ৫ লাখ টাকা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘১৬টি জেলার অন্তত ১০৩ টি উপজেলায় ঝড়ের প্রভাব পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৬ হেক্টর জমি, যা মোট আবাদকৃত জমির ১৪ শতাংশ। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২ হাজার ৮৩৬ হেক্টর জমি, যা মোট আবাদি জমির ৮ শতাংশ।’

মন্ত্রী জানান, বুলবুলের আঘাতে ৫০ হাজার ৫০৩ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির মধ্যে রোপা আমন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৭৮ হেক্টর, সরিষার ১ হাজার ৪৭৬ হেক্টর, শীতকালীন সবজির ১৬ হাজার ৮৮৪ হেক্টর, খেসারির ৩১ হাজার ৮৮ হেক্টর, মসুরের ১৯৫ হেক্টর, পানের ২ হাজার ৬৬৩ হেক্টর ও অন্যান্য ৩ হাজার ১২৬ হেক্টর জমি রয়েছে।