বিরোধপূর্ণ জমির মূল্যবান গাছ কাটলেন হর্টিকালচার কর্মকর্তা!

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি •

নিয়ম ভেঙ্গে বিরোধপূর্ণ জায়গার গাছ কেটে বির্তকে জড়ালেন হর্টিকালচার উদ্যান তত্ত্ববিদ এমরান কবির।

‘হেলেপড়া ডালপালা’র উল্লেখ করে মূল্যবান সেগুনগাছসহ অন্তত ৫লক্ষ টাকার গাছ কেটে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি বিছামারা সংলগ্ন হর্টিকালচার সেন্টারে।

এদিকে নিজের ক্রয়কৃত জায়গা থেকে হর্টিকালচার কর্তা অন্যায়ভাবে গাছ কেটেছেন বলে দাবী করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ। বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে অবহিত করেছেন।

জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি কলেজ রোড়-সোনাইছড়ি সড়কের ঠান্ডাঝিরি এলাকায় অবস্থিত হর্টিকালচার সেন্টার। দেওয়ালঘেরা এই অফিসের ডানপাশের্বর কোণের জায়গা থেকে গত ৫ ও ৬আগস্ট ১৩টি সেগুন গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট গাছপালা শ্রমিকদ্বারা কেটে স্তপ রাখা হয়। পরবতর্ী জায়গা ও গাছের মালিকানা দাবী করে বসেন নাইক্ষ্যংছড়ির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ। এর পরপর কর্তনকৃত গাছ দ্রুত সরিয়ে গাছের গুড়ালিতে ঝোপঝাড় ঢেকে দেওয়া হয়।

এই ব্যাপারে অভিযোগকারী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ জানান, ২০০৫সনে ২৭০নং মৌজায় জনৈক ম্রাথোয়াই অং মারমার ৮৪নং হোল্ডিং থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি হর্টিকালচার সেন্টার ১একর ৮০শতক জায়গা হুকুম দখল নেন। বাকী ৩ একর ২০ শতক জায়গা তিনি নিজে ১৬৩/০৫ নং এফিডেভিট মূলে ক্রয় করেছেন। কিন্তু পরবতর্ী দুপক্ষের জায়গার সীমানা বিরোধ তৈরী হলে ২০১২সনে হর্টিকালচার কতর্ৃপক্ষ ও তোফাইল আহমদের মধ্যে একটি লিখিত চুক্তি সম্পাদন হয়। বিরোধ মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত জমির ইজারার বাবদ ৩০% টাকা তোফাইল আহমদকে দেওয়ার শর্ত ছিল হর্টিকালচারের।

তোফাইল আহমদ আরো জানান, সম্পূর্ণ লোভেবশবতর্ী হয়ে অন্যায়ভাবে হর্টিকালচার কর্তা তাঁর ক্রয়কৃত জায়গা থেকে রোপিত গাছ কেটেছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এদিকে গাছ কাটা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি হর্টিকালচারের উদ্যান তত্ত্ববিদ এমরান কবির বলেন, বাউন্ডারী দেওয়াসহ অফিসটি সরকারী প্রতিষ্ঠান। গত কয়েকমাসে বৃষ্টিতে বেশকিছু গাছ হেলে পড়ে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে জানালে ঝুকিপূর্ণ গাছগুলো কেটে ফেলতে বলেছেন। অন্যের জায়গার গাছ কাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন- ‘তোফাইলের জায়গা নাই কোথায়, এটা আমার বিষয় নয়’। কিন্তু আমাদের অধিগ্রহণকৃত জায়গায় তিনি কিভাবে দাবী করেন। বিষয়টি তিনি সরকারের সঙ্গে বুঝাপড়া করতে বলেন।

অন্যদিকে গাছ কর্তনের অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবান হর্টিকালচার বিভাগের উপ পরিচালক ড. সাফায়েত আহমদ সিদ্দিকী বলেন, মাটি সরে কিছু গাছ পড়ে গিয়েছিল, সেই গাছ কাটা প্রয়োজনের কথা বলেছিল।

তবে সেগুনসহ অন্যান্যগাছ কাটার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তবে বিষয়টি আমি দেখব।