১১ দফায় ভাসানচরের উদ্দেশ্যে ৪৮৩ রোহিঙ্গা পরিবার

ইমরান আল মাহমুদ,উখিয়া:
বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ভাসানচর স্থানান্তর প্রক্রিয়ার ১১তম দফায় উখিয়া ডিগ্রী কলেজ অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে রোহিঙ্গাদের বহর।

বুধবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ১৯টি বাস ও বিকেলে ১৮টি বাসযোগে ৪৮৩ পরিবারের ১হাজার ৬শ ৫৪জন রোহিঙ্গা রওনা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ১৪এপিবিএন অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক। বহরের সামনে ও পেছনে পুলিশী নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়।

একইদিন বিকেলে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৮টি বাসে ৬৪৮জন রোহিঙ্গা পুলিশী নিরাপত্তায় উখিয়া অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করে।

১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পুলিশ সুপার নাইমুল হক জানান,১১তম দফায় ৪৮৩ পরিবারের ১হাজার ৬শ ৫৪জন রোহিঙ্গা শরণার্থী স্বেচ্ছায় ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এর আগে দশ দফায় ২০হাজার ৯শ ৪২জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হয়। এ পর্যন্ত ২২হাজার ৫শ ৯৬জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান,ভাসানচর থেকে উখিয়ার ক্যাম্পে ২৩০জন শরণার্থী অতিথি হিসেবে বেড়াতে আসেন। তাদেরকে ১১তম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গাদের সাথে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। রোহিঙ্গাদের মালামাল বোঝাই ৯টি কাভার্ড ভ্যান বহরের সাথে রওনা হয়।

সরকারের মানবিক উদ্যোগে ভাসানচরে নির্মিত আশ্রয় কেন্দ্রে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের থাকা খাওয়ার সকল সুবিধা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের জানালে যেসব রোহিঙ্গা যেতে আগ্রহী হয় তাদের তালিকা তৈরি করে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয় বলে জানা যায়।

রওনা হওয়া রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রাম থেকে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হবে।

বিভিন্ন ক্যাম্পে দেখা যায়,সাধারণ রোহিঙ্গাদের তাদের আত্নীয় স্বজনদের সাথে কথা বলে ভাসানচর যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে। আবার অনেকের মুখে ভিন্ন ভিন্ন মত পরিলক্ষিত হয়। তবে অধিকাংশ সাধারণ রোহিঙ্গারা যেতে আগ্রহী হয়।