ভয়ঙ্কর মাদক অক্সি-মরফোনের সন্ধান পেয়েছে ডিবি

অনলাইন ডেস্ক :

ভয়ঙ্কর মাদক অক্সি-মরফোনের সন্ধান পেয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ ডিভিশন। এ মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. আলমগীর সরকার (৫৮) ও জাহিদুল ইসলাম (৩৪)। লালবাগ ডিভিশনের কোতোয়ালি জোনাল টিম বাবুবাজার মাজারের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু অক্সি-মরফোন জব্দ করা হয়েছে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে, মিটফোর্ড এবং ধানমন্ডির সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে সর্বমোট ১৩ হাজার পিস মরফোন জব্দ করা হয়।

ডিবির কোতোয়ালি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, অক্সি-মরফোন হলো মরফিনের একটি এনালগ, যা এনালজেসিক ড্রাগ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আগে ইনজেকশন হিসেবে ব্যবহৃত হতো এখন ওরাল ফর্মে আনা হয়েছে।

এটি মূলত কাজ করে ব্রেইনে। তীব্র ব্যথানাশক হিসেবে ক্যান্সার, হার্ট, দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর তীব্র ব্যথা কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।

তিনি বলেন, মরফিন একটি ইউফোরিক ড্রাগ। যা মস্তিষ্কে প্রচ- আনন্দ-অনুভূতি তৈরি করে। শরীরে সাময়িককভাবে দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা ভুলিয়ে দেয়। ব্যথার সিগনাল গিয়ে মস্তিষ্ককে উত্তেজিত করতে পারে না। মস্তিষ্ক বোধহীন অসাড় হয়ে যায়। মূলত মাদক সেবিরা অক্সি-মরফোন গুঁড়া করে যেকোনো সিরাপ, পানীয়ের সঙ্গে মিক্স করে খায়। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ শিক্ষার্থীরা এই মাদকটি সেবন করছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।

তিনি আরও বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট পরিমাণ ওষুধ বিক্রয় ও বাজারজাত করার অনুমোদন দেয়। যা নির্দিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে লাইসেন্স প্রদর্শন করে পরিবহনের রুট প্রদর্শন করে এবং কার কাছে বিক্রয় করা হবে তা প্রদর্শন করে গ্রহণ এবং বিক্রয় করতে হয়। ভয়ঙ্কর ড্রাগ হওয়ায় কোম্পানিগুলো তাদের প্রচলিত মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করে এর বিপণন নিষিদ্ধ করেছে।

তারপরও এতো বিপুলসংখ্যক ড্রাগ আসামিদের কাছে কীভাবে এলো সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি। গ্রেপ্তার আসামিরা বিপুল পরিমাণে ভয়ঙ্কর এই ড্রাগ সংগ্রহ করে মাদকসেবীদের কাছে যত্রতত্র বিক্রি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ এর (১) এর ১২ এর (গ)/৪১ ধারায় মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এম./জমিন/ অনলাইন