‘মন্ত্রীর নির্দেশে ৬ ঘন্টায় বিদ্যুৎ পেল সেন্টমার্টিনদ্বীপের ৩টি প্রতিষ্টান: ‘হেল্থ ক্যাম্প’ উদ্বোধন

হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ •

 

সেন্টমার্টিনদ্বীপে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে ‘ট্যুর ফর সোশ্যাল গুডস এর ‘হেল্থ ক্যাম্প’ অনুষ্টিত হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে সেন্টমার্টিনদ্বীপ ১০ শয্যা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে ‘ট্যুর ফর সোশ্যাল গুডস এর ‘হেল্থ ক্যাম্প’ এর আনুষ্টানিক উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান ও সেন্টমার্টিনদ্বীপ বিএন ইসলামিক হাইস্কুল এন্ড কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি আলহাজ¦ নুর আহমদ রাত সাড়ে ১০টায় সেন্টমার্টিনদ্বীপ থেকে মোবাইল ফোনে জানান, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সফরসঙ্গীসহ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজ যোগে সেন্টমার্টিনদ্বীপে পৌঁছলে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করা হয়।

এরপর সেন্টমার্টিনদ্বীপ ১০ শয্যা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে ‘ট্যুর ফর সোশ্যাল গুডস এর ‘হেল্থ ক্যাম্প’ এর আনুষ্টানিক উদ্বোধন করেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশণার (ভুমি) মোঃ আবুল মনসুর, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ টিটু চন্দ্র শীল, টেকনাফ ৫০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও ‘বিখ্যাত ভ্রমণকন্যা’ ডাঃ সাকিয়া হক, পরিষদের সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্টানে মন্ত্রীর কাছে ২টি অভিযোগ সরাসরি তুলে ধরেন সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান ও সেন্টমার্টিনদ্বীপ বিএন ইসলামিক হাইস্কুল এন্ড কলেজ গভর্ণিং বডির সভাপতি আলহাজ¦ নুর আহমদ। ১টি হচ্ছে সেন্টমার্টিনদ্বীপে অত্যাধুনিক অবকাঠামোসহ ১০ শয্যার একটি হাসপাতাল আছে। তা নামে আছে, কাজে নেই। ডাক্তার—কর্মচারী থাকেননা। জরুরী প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোকবল নেই। যা আছে তাও ব্যবহার না থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

বিশেষতঃ অত্যন্ত শক্তিশালী মুল্যবান জেনারেটর নষ্ট হওয়ার পথে। চিকিৎসার অভাবে দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটক অসহ্য ভোগান্তি পোহাচ্ছে। বিশেষতঃ গর্ভবতী নারী বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। ২য় অভিযোগ হচ্ছে মূল ভু—খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে গত দুই বছর ধরে সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রয়েছে। কিন্ত তারা গলাকাটা বাণিজ্য করছে। চড়া দামে সংযোগ এবং আবাসিক সংযোগে প্রতি ইউনিট ৩৩ টাকা ও বাণিজ্যিক প্রতি ইউনিটে ৪৩ টাকা করে নিচ্ছে। আবেদন করা সত্বেও সেন্টমার্টিনদ্বীপ ১০ শয্যা হাসপাতালে সংযোগের জন্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ইউনিয়ন পরিষদে সংযোগের ৫০ হাজার টাকা এবং সেন্টমার্টিনদ্বীপ বিএন ইসলামিক হাইস্কুল এন্ড কলেজে সংযোগের জন্য ২ লক্ষ টাকা সংযোগ ফি দাবী করেছে সোলার কতৃপক্ষ।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জনসম্মুখে অভিযোগ দুটি শুনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন।

হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে তিনি তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে ফোনে আলাপ করে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেন। এরপর সোলার কতৃপক্ষের সাথে ফোনে আলাপ করে প্রতি ইউনিটের বিল ৮ টাকার বেশী না নিতে এবং রাত ১০টার মধ্যেই সেন্টমার্টিনদ্বীপ ১০ শয্যা হাসপাতালে, সেন্টমার্টিনদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদে ও সেন্টমার্টিনদ্বীপ বিএন ইসলামিক হাইস্কুল এন্ড কলেজে সংযোগ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।

সোলার কতৃপক্ষ মন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে কোন টাকা ছাড়াই বিকাল থেকেই অতিরিক্ত লোকবল নিয়ে কাজ শুরু করে মাত্র ৬ ঘন্টায় রাত ১০টার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করেছে। ##