মহেশখালীর আবাসিক হোটেল থেকে পরকীয়া প্রেমিক জুটিকে পুলিশে দিলো জনতা

গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের, মহেশখালী •

মহেশখালী পৌরসভার অন্তর্গত ৫ নং ওয়ার্ড ঘোনাপাড়া এলাকার পরকীয়া প্রেমিক জুটি মহেশখালী পৌর শহর গোরকঘাটা বাজারে আবাসিক হোটেল সীগার্ট থেকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ায় স্থানীয় জনতা আটক করে মহেশখালী থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে।

মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় মহেশখালী পৌর শহর গোরকঘাটা বাজারে অবস্থিত আবাসিক হোটেল সীগার্ট থেকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় ওই প্রেমিক জুটিকে হাতে নাতে আটক করে মহেশখালী থানা পুলিশকে খবর দেয়।

সংবাদ পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই এর নির্দেশে এএস আই আকবর ঘটনাস্থলে পৌছলে স্থানীয় জনতা আটক পরকীয়া প্রেমিক জুটিকে তাদের হাতে সোপর্দ করেন ।

আটক জুটিরা হলেন-মহেশখালী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড ঘোনাপাড়া এলাকার মৃত শাহেব মিয়া সওদাগরের পুত্র, ৪ সন্তানের পিতা ফরিদ আলম (৪৫) ও একই এলাকার খলিল আহম্মদের মেয়ে জৈনিক প্রবাসীর স্ত্রী ২ সন্তানের জননী রোমানা আক্তার (৩০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহেশখালী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড ঘোনাপাড়া এলাকার খলিল আহম্মদের মেয়ে জৈনিক প্রবাসীর স্ত্রী ছিলেন,একই এলাকার মৃত শাহেব মিয়া সওদাগরের পুত্র, ৪ সন্তানের জনক ফরিদ আলম (৪৫) সাথে প্রবাসীর স্ত্রী দু’সন্তানের জননী রোমানা আক্তার স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাধে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোক চক্ষুর আড়ালে চুটিয়ে পরকিয়া আসক্ত হয়ে প্রেম করে আসছিল।

তার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে জৈনিক প্রবাসী তার স্ত্রী রোমানাকে ডিভোর্স দেন।

প্রেমিক ফরিদ আলম গোরকঘাটা বাজারের নজির আহমদ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী।

সাম্প্রতিক সময়ে এলাকার লোকজন ফরিদ আলম ও রোমান আক্তার সাথে অবৈধ মেলামেশা ও নানা অনৈতিক কর্মকান্ড দেখে।

প্রেমিকা রোমানা আক্তার’কে লোভে ফাদে আটকিয়ে প্রেমিক ফরিদ আলম অবাধ মেলামেশা শুরু করে ।

এ নিয়ে স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠক করে ।

লম্পট ফরিদ আলম,রোমানা আক্তারের সাথে অনৈতিক কাজে অবস্থায় জনতার হাতে আটক পরে পুলিশের হাতে সোপর্দ বিষয়টি সর্বত্রে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফুসে উঠে ঘোনাপাড়া এলাকার আপামর জনতা ।

সর্বত্রে সুষ্ঠু বিচারের দাবী উঠে বিবাহিত ৪ সন্তানের জনক ফরিদ আলমের অনৈতিক কর্মকান্ডের ।

পরকীয়া প্রেমিক জুটির এ ঘটনাটি বর্তমানে টক অব দ্যা পৌরসভা পরিণত হয়েছে।

আটক প্রেমিক জুটির ব্যাপারে গোরকঘাটা বাজারে ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে যে সব আবাসিক হোটেল রয়েছে তাদের প্রত্যেক মালিককে বাজার বণিক সমিতি পক্ষথেকে অপরিচিত লোককে রুম ভাড়া দেয়ার বিষয়ে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে ।

কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ কোন ধরণের সত্যতা যাচাই না করে টাকার লোভে পড়ে অবৈধভাবে রুম ভাড়া দিয়ে দিনের পর দিন অনৈতিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

ইতিপূর্বে ওই সব হোটেল থেকে আরো কয়েকবার অনৈতিক কাজ করতে আসা কিছু সংখ্যক নারী-পুরুষ আটক করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

পরকীয় প্রেমিক জুটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরেও হোটেল রেজিস্ট্রারে তাদের কে স্বামী স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করে তাদের ঠিকানা লিখেন ধলঘাটা ইউনিয়নে।

আটক পরকীয়া প্রেমিক ফরিদ আলম গোরকঘাটা বাজারে নজির আহমদ সুপার মার্কেটের এক জন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

গোরকঘাটা বাজারে ব্যবসায়ীদের দাবী হোটেল সীগার্ট এর ম্যানাজারে যোগসাজশে দিনের পর দিন হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

আটক পরকীয়া প্রেমিকা রোমানা আক্তার বলেন-ফরিদ আলম তাকে বিগত ৭ বছর আগে থেকেই বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার দেহ ভোগ করে আসছে।

আজকেও তাকে বিয়ে করবে বললে ফরিদ যেখানে ঠিকানা দেয় সেখানে এসেছি।ফরিদ আলম তাকে বিয়ে না করলে সে আত্মহত্যা করবে এমনটি বলেন।

অপরদিকে ব্যবসায়ী ফরিদ আলম বলেন, মেয়েটিকে বিয়ে না করার মর্মে বুঝানোর জন্য মুলত হোটেলে ডেকে নিয়ে আসা হয়,তার ঘরে স্ত্রী ও ৪ সন্তান রয়েছে,যার কারনে সে মেয়েটিকে বিয়ে করা সম্ভব নয়।

আমি প্রতারণার স্বীকার,আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন।

এ ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আব্দুল হাই পরকীয়া প্রেমিক জুটি আটকের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন-আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।