মাদকপাচার মামলায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির হার সন্তোষজনক নয়!

ডেস্ক রিপোর্ট •


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এক যাত্রীর লাগেজ তল্লাশির সময় সন্দেহ হয় স্ক্রিনার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। পরে তল্লাশি চালিয়ে সবজিভর্তি কার্টনে ইয়াবার অস্তিত্ব পান তারা।

মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা স্বপন মাতব্বর (২৭) নামের ওই যাত্রী সৌদি আরবের দাম্মামে যাচ্ছিলেন। তল্লাশি শেষে তার ব্যাগ থেকে পাওয়া যায় মোট ২২ হাজার ৪৯০ পিস ইয়াবা। স্ক্যানিং মেশিন ফাঁকি দিতে ইয়াবাগুলো সবজির কার্টনে কার্বনে মোড়ানো ছিল বলে জানান বিমানবন্দর পরিচালক তৌহিদ-উল আহসান।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিমানবন্দরের দুই কর্মী দক্ষতার সাথে ইয়াবার এ চালান ধরেছে। যেভাবে কার্বনে মোড়ানো ছিল এবং কার্টনের ভেতরে দুইভাজের মাঝে ছিল তা খোলাচোখে ধরা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। পরিচালক জানান, ডুয়েল স্ক্রিনিং এক্সরে মেশিনে এসব বস্তু সনাক্ত করা যায়। এক্ষেত্রে ইয়াবাসদৃশ বস্তু পাওয়ার পর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ডাকা হলে তারা এসে এগুলোক ইয়াবা হিসেবে চিহ্নিত করেন।

বিমানবন্দর চোরাচালানের রুট হয়ে উঠছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই পরিচালক বলেন, চোরাকারবারীরা বিভিন্ন সময় মাদক, স্বর্ণ, বিদেশি মুদ্রাসহ বিভিন্ন জিনিস পাচার করার চেষ্টা করে। তবে আমরাও দক্ষতার সাথে সেগুলো মোকাবিলা করি। আমাদের যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: টেকনাফে ২৮ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ

গত কয়েকমাসে এই বিমানবন্দরে ইয়াবা, অ্যামফিটামিনসহ বিভিন্ন মাদকের চালান আটক হয়। বিভিন্ন সময় মূলহোতাদের খুঁজে পাওয়া গেলেও শাস্তির দৃষ্টান্ত সন্তোষজনক নয় বলে জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা উত্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান।

তিনি সময় সংবাদকে বলেন, এঘটনায় মূল হোতাদের ধরতে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ করে চেষ্টা করা হবে। অতীতেও আমরা অ্যাম্ফিটামিন, ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িতদের আটক করেছি। বিমানবন্দরে এধরনের যেকোনো ঘটনায় বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করি আমরা। যদিও মাদক মামলায় কনভিকশন রেট এখনো ৪০ শতাংশের মতো। এ হার বাড়ানোর চেষ্টা করছি আমরা। বিচারিক প্রক্রিয়া বিভিন্ন কারণেই ধীরগতির। আমরা আমাদের যুক্তি তর্ক দিয়ে চেষ্টা করছি।

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতেও সিঙ্গাপুরগামী রপ্তানি চালানের একটি কার্টন থেকে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি ৫২ লাখ টাকার সৌদি রিয়েল এবং সিঙ্গাপুরি ডলার আটক করে কাস্টমস কর্মকর্তারা । আটক করা হয় স্টার লাইন এক্সপ্রেসের কর্মী হাসান আলী নামের একজনকে।