ফের মালয়েশিয়া যাত্রাকালে নারী-শিশুসহ ২৭ রোহিঙ্গা উদ্ধার

গিয়াস উদ্দিন ভূলু, কক্সবাজার জার্নাল

টেকনাফ উপকুল ব্যবহার করে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানব পাচারে জড়িত দালাল চক্রের সদস্যরা। এই চক্রটি আইন-শৃংখলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে তাদের ঘৃন্য অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু মানব পাচারকারীদের সেই ব্যর্থ অপচেষ্টা প্রতিরোধ করার জন্য সদা প্রস্তুত রয়েছে সীমান্ত প্রহরী টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে টেকনাফ ২ বিজিবি সদস্যরা বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল থেকে মালয়েশিয়াগামী ২৭ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে। রাতের আঁধারে তারা গভীর সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশে সেখানে অবস্থান করছিলেন।

বুধবার (৩ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার মহেশখালীয়াপাড়া ও কাটাবনিয়া খালের মুখ এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে, ৩ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও ৮ জন শিশু রয়েছে। তারা উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছে।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবির দায়িত্বরত নবাগত অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সরকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, টেকনাফ সীমান্ত উপকুল ব্যবহার করে ঘৃন্য মানব পাচারে জড়িত যে সমস্ত অপরাধীরা আবারও সাগর পথে মানব পাচারের অপচেষ্টা করছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওয়তাই নিয়ে আসা হবে। সেই অভিযান বাস্তবায়ন করার জন্য স্থানীয় সংবাদকর্মি ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা একান্ত ভাবে কামনা করছি।

তিনি আরো বলেন টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে যারা এখনো মাদক ও মানব পাচারে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তারা যত বড় শক্তিশালী ব্যাক্তি হোক না কেন বিজিবি সদস্যদের হাত থেকে কেউ রেহাই পাবেনা। আসতে তথ্য অনুসন্ধান চলছে।
আটককৃতদের স্ব স্ব ক্যাম্পে হস্তান্তর করার জন্য প্রেরন করা হয়েছে।

এদিকে বিজিবি হাতে আটক হওয়া বেশ কয়েকজন মালয়েশিয়াগামীর সাথে কথা বলে জানা যায়,তাদের পরিবারের যে সমস্ত সদস্যরা মালয়েশিয়া চাকরী করছে তাদের নির্দেশ অনুযায়ী উখিয়া-টেকনাফ গড়ে উঠা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত দালাল চক্রের সহযোগীতায় তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ ভাবে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি গ্রহন করেছিল বলে জানায় আটকৃতরা।