টেকনাফের নাফ নদীতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মাছ শিকার নিষিদ্ধ!!

৪ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে মুক্তিপন দাবী মিয়ানমার বিজিপি’র

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল

টেকনাফ নাফনদী থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকাসহ চার বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী (বিজিপি)। এই খবরটি টেকনাফ উপকুলীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে জেলে পরিবার গুলোতে বিরাজ করছে আতংক ও হতাশা।

এদিকে মাদক পাচার প্রতিরোধ ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নাফনদীতে মাছ শিকার না করার নিষিদ্ধ ঘোষনা করে সরকার। নিষিদ্ধ থাকার পরও তারা কিভাবে নাফনদীতে মাছ শিকার করতে গেল সেই বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়া সংলগ্ন নাফনদীতে মাছ শিকার করতে যায় স্থানীয় কয়েক জন জেলে কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হলোনা মিয়ানমার বিজিপি তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়।

তারা হচ্ছে, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজার পাড়ার বাসিন্দা আজিম উল্লাহ (মাঝি), মোহাম্মদ আবদুল্লাহ,আবুল কালাম ও মোহাম্মদ হাসান।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আমান উল্লাহর মালিকাধীন একটি ট্রলারে করে চার মাঝি নাফ নদে মাছ ধরতে যান। কিছুক্ষণ পর মিয়ানমার থেকে বিজিপির একটি দল স্পিডবোটে এসে অস্ত্রের মুখে জেলেদের জিম্মি করে ধরে নিয়ে যায়।

নৌকা মালিক আমান উল্লাহ জানান, সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি বিজিবি ক্যাম্পে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরো জানান, কয়েকদিন ধরে জেলেদের জালে ইলিশ মাছ ধরা পড়ছিল তাই ভোরে চাচাতো ভাই আজিম উল্লাহ মাঝিসহ অন্যদের নিয়ে নাফ নদীতে যায়। এরপর সকালে খবর আসে তাদেরকে মাছ শিকার করা অবস্থায় মিয়ানমার বিজিি ধরে নিয়ে গেছে।

তিনি আরো জানান, সকাল ৭টার দিকে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ছেড়ে দিবে তবে তার বিনিময়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দিতে হবে বলে ওপাড় থেকে তার কাছে ফোন আসে। আবার জেলেদের মারধর করা ও কান্নার আওয়াজ ফোন করে শুনানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সদ্য যোগদান হওয়া

টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্নেল ফয়সাল হাসান খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি শুনেছি এবং ঘটে যাওয়া বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।