যে কষ্ট নিয়েই চলে গেলেন ব্যাংকার গহর জাহান

রাজধানীর উত্তরায় প্রাইম ব্যাংক কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় সোমবার মৃত্যু হয় গহর জাহানের। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। ভিডিওটি দেখার পর অনেকেই সমবেদনা জানিয়েছেন। হঠাৎ এমন করে মৃত্যু গহরের পরিবারেও এনে দিয়েছে শোক।

৪৪ বছর বয়সী গহবর বিয়ে করেননি। অনার্সে থাকতে হয়েছে তার ওপেন হার্ট সার্জারি। ফলে দেখতে সুশ্রী থাকা সত্ত্বেও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারেননি তিনি। ৫ ভাই তিন বোনের মধ্যে বোনদের সবার ছোট ছিল গহর। থাকতেন ভাইদের সাথেই। 

বিয়ের প্রস্তাব আসলেও ওপেন হার্ট সার্জারির কথা শুনে কেউই আর বিয়েতে রাজি হত না এসব কথা জানালেন গহরের ভাই তথ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইন্সটিটিউটের পরিচালক মো. মারুফ নাওয়াজ।

মারুফ নাওয়াজ বলেন, প্রত্যেক মেয়ের স্বপ্ন থাকে নিজের একটি ছোট্ট সুন্দর সংসার হবে। স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে থাকবে। কিন্তু আমাদের দেশে সেই ছেলেটা আজও জন্মালো না। যে আমার বোনের শারীরিক এই তুচ্ছ দুর্ঘটনাকে আপন করে নিবে। এটা শুধু আমার নয় আমার পুরো পরিবারের দুঃখ।

তিনি আরো বলেন, দিনে রাতে যে কারো কোনো বিপদে ছুটে যেতেন। বলতেন, মাদার তেরেসা যেভাবে নিজের জীবন মানব সেবায় ব্যয় করেছে আমিও সেভাবে মানবতার সেবায় জীবনকে উৎসর্গ করতে চাই। 

বোন হিসেবে সে ছিল অসাধারণ। অনেকটা মায়ের মত। আমার ছোট দুই ভাইকে পড়ালেখা থেকে শুরু করে বিদেশে পাঠানো সবকিছুই আমার এই বোন করেছে। মা আমাদের জন্ম দিলেও ছোট ভাই বোনদের প্রতি সে এত যত্নশীল এবং কেয়ারিং ছিল যেটা বলে বোঝানো যাবে না। 

সে উত্তরাতে আমাদের সঙ্গে থাকতেন। আমার ছোট দুই ছেলেকে আব্বাজান বলে ডাকতেন। এমনকি আমার বিয়ের কনে দেখা থেকে শুরু করে সবকিছুই করেছেন তিনি।