প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা...

খুনিয়াপালংয়ে রাত বাড়লেই বসে মদ-জুয়া ও নাচের আসর!

নিজস্ব প্রতিবেদক •

রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং এলাকার নোয়াপাড়ায় সন্ধ্যা নামলেই বসছে মদ-জুয়া ও গানের আসর। রাতের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে হুল্লোড়ের বহর। নেশার সঙ্গে চলছে জুয়া, উচ্চস্বরে বাজছে অশ্লীল গান।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এসব নিয়ে বলতে গেলে জুটছে হুমকি, অশ্রাব্য গালিগালাজ। দিন দিন অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ, গভীর রাত পর্যন্ত ওদের এই অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে। রাতভর অশ্লীলতা আর সজোরে বাজানো গানের আওয়াজে কারণে এলাকার শিক্ষার্থীরা, বৃদ্ধরা পড়েছে চরম বিপাকে।

বেশ কয়েকদিন ধরে চলা অসামাজিক এই আসর বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ নেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৫ বছর ধরে খুনিয়াপালং ইউনিয়নের কোথাও এমন অশ্লীলতা চলেনি। হঠাৎ বেশ কয়েকদিন ধরে স্থানীয় কিছু বিতর্কিত রাজনৈতিক নেতার ইন্ধনে উন্মুক্তভাবেই রাতভর চলছে অশ্লীল নৃত্য। বর্তমানে লাখ-লাখ টাকার রমরমা জুয়ার আসরের পাশাপাশি চলছে রাতভর মদ, গাঁজাসহ বিভিন্ন রকমের মাদকের ব্যবসা। শুধু তাই নয় গান, বাদ্য-বাজনা সজোরে গানের আওয়াজ প্রচার করায় এলাকার বসবাসরত শান্তিপ্রিয় মানুষের নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে যুবক ও ছাত্র সমাজ অধপতনের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু থানা পুলিশি এবিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

স্থানীয় আলেম শিক্ষক মাওলানা আবদুল্লাহ এমএম জানান, এলাকায় একটি চক্র মদ, গানের আসর ও রমরমা জুয়ার আসর চালিয়ে আসছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ।

খুনিয়াপালং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন জানান, একটি বিতর্কিত রাজনৈতিক মহলের ছত্রছায়ায় কিছু লোক চোলাই মদ এনে বিক্রি এবং বিভিন্ন স্থানে পাচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। এ নিয়ে এলাকার সচেতন লোকদের মধ্যে চরম অসন্তুষ্ট বিরাজ করছে। সব মিলিয়ে এলাকাটি এখন অসামাজিক কার্যকলাপের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।

এদিকে, এলাকার সামাজিক পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।