রামু-মরিচ্যা সড়কের নারকেল বাগান সেতুটি যেন মৃত্যুর ফাঁদ

কামাল হোসেন,রামু :

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ব্যাস্থতম সড়ক রামু-মরিচ্যা সড়কের ৫১নং নারকেল বাগান সেতুটি চরম ঝুকিতে রয়েছে,এ যেন মৃত্যুর ফাঁদ।দ্রুত সংস্কারের ব্যাবস্থা না করলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশংখা রয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
সরজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায়,রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের রামু-মরিচ্যা সড়কের আর্মি ক্যাম্প সংলগ্ন ৫১নং নারকেল বাগান সেতুটির তলা থেকে লোহার পাত উঠে গিয়ে বর্তমানে সেতুটি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।মাঝে মাঝে যানজটও সৃষ্টি হয়।যেকোন সময়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।সেতুটি সংস্কারে বিলম্ব ঘটাতে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন অধিকাংশ যাত্রী ও স্থানীয় জনসাধারন।বেশ কিছু কারনে সড়কটি অত্যান্ত গুরুত্ববহন করে।এই সড়কের সেতুটির পাশে রয়েছে ১০ পদাতিক ডিভিশন আর্মি ক্যান্টনম্যান্ট,বিজিবি ক্যাম্প, রাংকোট,আইসোলেটেট নারকেল বাগান,বোটানিক্যাল গার্ডেন সহ একাধিক স্কুল মাদ্রাসা।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত হাজারখানেক এনজিও কর্মী,রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এবং ক্যান্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের কয়েকশ কোমলমতি শিক্ষার্থী এ সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করেন।তাদের অভিবাবকরা থাকে উৎবেগ ও উৎকন্ঠায়।

রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুলের স্থায়ী দাতা সদস্য ও বর্তমান পরিচালনা কমিটির সদস্য ইউনুছ রানা চৌধুরী এবং কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য ও রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুলের অভিবাবক সদস্য নুরুল হক কোম্পানি বলেন, ১০ পদাতিক ডিভিশন আর্মি ক্যান্টনম্যান্টের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই রকম একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু থাকা অত্যান্ত দুঃখজনক।আমরা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে চিন্তিত থাকি।শুধু আমরা নই আমাদের মতো কয়েকশ অভিবাবক এ নিয়ে চিন্তিত থাকেন।জানিনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কখন ঘুম ভাঙ্গবে।বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই এই সেতু মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।

আবুল কালাম নামে এক সিএনজি ড্রাইভার বলেন,এই সেতুটিতে গাড়ি তুলার সময় ভয় কাজ করে।কখন কি অঘটন ঘটে।সেতুটির তলা থেকে উঠে যাওয়া লোহার পাতের ফাঁকে যদি সিএনজি’র চাকা ডুকে যায় তাহলে তো দুর্ঘটনা অনিবার্য।তাই সেতুটি দ্রুত মেরামত জরুরী বলে মনে করেন তিনি।
স্থানীয় লোকজন বলেন,অত্যান্ত ঝুকি নিয়ে আমরা সেতু দিয়ে চলাচল করি।রাতবিরাতে আরো সমস্যা।সেতুটি পার হওয়ার সময় একটু অসাবধান হলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান বলেন,আইন শৃংখল মিটিংয়ে ইউএনও সাহেবের কাছে আমি এই বিষয়টি উত্তাপন করেছি।তিঁনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন, এ বিষয়ে আমি সড়ক ও জনপথ(সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সংগে কথা বলেছি। তিনি দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

সেতুটি সংস্কারে বিলম্বের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, রামুর ইউএনও সাহেব সেতুটির দূর্দশার কথা আমাকে জানিয়েছেন।কয়েক দিন আগে আমরা সেতুটি পরিদর্শন করেছি।সেতুটি মেরামতের জন্য যেসব উপকরণ দরকার তা এখানে পাওয়া যায় না।চট্টগ্রাম থেকে সরবরাহ করতে হয়।তাই একটু বিলম্ব হচ্ছে।যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি সংস্কার করা হবে।এর আগেও সেতুটি সংস্কার করা হয়েছিল।বেশিদিন টিকে নাই।এটাও ঠিক,এধরনের সেতুর সংস্কারের কাজ খুব একটা টেকশই হয় না।তবে একটু অপেক্ষা করুন,এখানে নতুন সেতু করার পরিকল্পনা আছে আমাদের।