রেকর্ড ভাঙা ট্রিপল সেঞ্চুরি তামিমের

স্পোর্টস ডেস্ক ◑  ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকেই বিবর্ণ ছিলেন তামিম। বিশ্বকাপে দলের কান্ডারি হয়েও আশা দেখাতে পারেননি। শ্রীলংকা সফরে তার এবং দলের ভরাডুবি হয়। এরপর বিশ্রাম এবং পারিবারিক কারণ মিলিয়ে ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন তামিম। তবে বিপিএলেই রানের আভাস দেন তিনি। পাকিস্তানে টি-২০ সিরিজে ধীর গতিতে হলেও পান রান তামিম।

এবার দেশের ক্রিকেটে ফেরার সঙ্গেই যেন রানের চূড়ান্ত ধারায় ফিরলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাত হাজার রানের অপেক্ষায় থাকা তামিম। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) অষ্টম পর্বের দ্বিতীয় দিনই ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। খেলেন আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে মিলিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

রোববার ম্যাচের তৃতীয় দিন দেশসেরা এই ওপেনার তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি। খেললেন ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা ৩৩৪ রানের ইনিংস। হার না মানা এই ইনিংস খেলে নতুন করে লিখলেন দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ইতিহাস। বাঁ-হাতি এই ওপেনারের ব্যাটে ভর করে প্রথম ইনিংসে সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে ইস্ট জোন ম্যাজিক সংখ্যা ৫৫৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ইস্ট জোনের মাত্র দুইটি উইকেট নিতে পারে সেন্ট্রাল জোন।

দ্বিতীয় বাংলাদেশী ক্রিকেটের হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেন তামিম। এর আগে ২০০৭ সালে দারুণ কিছুর আভাস দিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে আসা ডানহাতি ব্যাটসম্যান রাকিবুল হাসান ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন। তিনি খেলেন ৩১৩ রানের ইনিংস। পরে লংকান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা ভেঙে দেন রাকিবুলের সেই ইনিংস। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এক সময়কার নিয়মিত মুখ সাঙ্গাকারা ২০১৪ সালে খেলেন সর্বোচ্চ ৩১৯ রানের ইনিংস।

তামিম ডাউন দ্য উইকেটে এসে শুভাগত হোমের বলে দারুণ এক ছক্কা মেরে ভাঙেন সাঙ্গাকারার রেকর্ড। দুর্দান্ত এই ইনিংস খেলার পথে তামিম খেলেন ৪২৬ বল। চারের মার দেখান ৪২টি। এছাড়া ওভার বাউন্ডারি তোলেন তিনটি। আগের দিন ডাবল সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকা তামিম ৩০টি চার মারেন। ছিল না কোন ছক্কা। তার সঙ্গে ব্যাট করা ইয়াসির আলী খেলেন হার না মানা ৬২ রানের ইনিংস।

তামিমের এই রেকর্ড ভাঙা ইনিংস মাঠে বসেই দেখেছেন কোন রাসেল ডমিঙ্গো এবং বিসিবির নির্বাচকরা। জানিয়েছেন অভিনন্দন। এবারের বিসিএল পাকিস্তান সফরের প্রস্তুতি এবং ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য আগেভাগেই শুরু করা হয়েছে। মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি, তামিমের ট্রিপল এবং সাইফদের ব্যাটে রান পাওয়া দিয়ে প্রস্তুতিটা তাই ভালোই হলো বলতে হবে। এবাদত-তাইজুলরাও ভালো করেছেন।