কমে আসছে বৈদেশিক সাহায্য

রোহিঙ্গাদের নিয়ে গভীর সংকটে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত, আবার বৈদেশিক সাহায্যও কমে আসছে। ফলে রোহিঙ্গাদের নিয়ে বড় সংকটে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত অর্থবছর থেকেই রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ সরবরাহ কমছে। এই অর্থবছরেও আর্থিক সরবরাহের মাত্র ১৪ শতাংশ এসেছে বলে জানা গেছে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক কয়েকটি ত্রাণ সংস্থা ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, দাতারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আর্থিক সহযোগিতা না করে তাহলে রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণ নিয়েও বাংলাদেশ আর্থিক সংকটে পড়বে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের দুই ধরনের কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে। প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইকোনমি নিয়ে ভাবতে হবে।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার এবং তাদের আর্থিক সহযোগিতা দিতে সেই সময় (গত দুই বছর আগে) যারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাদের চাপ দিতে হবে। তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বৈদেশিক সাহায্য কমছে। ইতিমধ্যে নিজেদের তহবিল থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, দুই বছর আগে রোহিঙ্গা সংকট শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক সাহায্য যেভাবে এসেছে এখন সেটি কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ ও বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য প্রতিবছর ১ বিলিয়ন ডলারের মতো খরচ হয়। বৈদেশিক সহায়তা থেকে এই অর্থের পুরোটা পাওয়া যায় না।

গত দুই বছর ধরেই সরকারের বাজেট থেকে খরচ করতে হচ্ছে। আর এ কারণে বাজেটের ওপর চাপ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের কারণে আর্থিক চাপ সামাল দিতে প্রত্যাবাসনের মতোই কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে হবে।

ইউএনএইচসিআরের নেতৃত্বে একটি ফান্ড করার উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, এই ফান্ডে প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা করবে।

অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, যত দিন যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গা সংকটের গুরুত্ব কমছে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য পায়। এসব দেশের কাছে রোহিঙ্গা সংকটের গুরুত্ব কমলে অর্থ সহায়তাও কমে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে রোহিঙ্গা সংকটের গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। এটা অবশ্যই উদ্বেগজনক।

কক্সবাজারে কর্মরত ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (আইএফআরসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মারিয়া ল্যারিও বলেন, দাতাদের কাছ থেকে আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এটা উদ্বেগজনক। এখন মানবিক কূটনীতি চালিয়ে যেতে হবে। রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপে রাখতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশ সরকারকে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরালো রাখতেই হবে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনজিও ব্যুরোর তথ্য বলছে, প্রায় দুই বছরে এনজিওদের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৪৮ কোটি টাকা। ১৮৯টি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ১ হাজার ২১টি প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যয় করছে এ অর্থ।

পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যমতে, রোহিঙ্গাদের পেছনে প্রতি বছর যে পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে তা জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, বিশ্ব খাদ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন বৈদেশিক সাহায্য সংস্থা থেকে অনুদান পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এর বাইরেও রোহিঙ্গাদের পেছনে বিপুল পরিমাণ খরচ হচ্ছে।

এ ব্যয় মেটাতে হচ্ছে বাজেট থেকে। বিশেষ করে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, স্যানিটেশন, নিরাপত্তাজনিত ব্যয় সরকারের তরফ থেকে করতে হচ্ছে।

রোহিঙ্গা খাতের বিপুল পরিমাণ প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড়ে শুরু থেকেই বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশগুলোর সহায়তা আরও বাড়ানোর কথা জানিয়ে আসছে সরকার।

সরকারের বিভিন্ন দপ্তর, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও জাতিসংঘের বিভিন্ন তথ্য বলছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ৭ লাখ ৪৫ হাজার।

এর আগে একই কারণে ১৯৭৮-৭৯, ১৯৯১-৯২ ও ১৯৯৬ সালেও মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। পরে আশ্রয় ক্যাম্পে জন্ম নিয়েছে আরও ৬০ থেকে ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা শিশু।

সব মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ১৮ হাজারের কিছু বেশি।

এদিকে ২০১৮ সালের জুন মাসে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার পেছনে সরকারের বছরে ব্যয় হতে পারে কমপক্ষে ৬০ কোটি ডলার। দুই বছরে এর পরিমাণ ১২০ কোটি ডলার।

অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে রোহিঙ্গাদের জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ খাদ্য, আবাসন, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য জরুরি সেবাসহ আনুষঙ্গিক ভৌত সেবা সুবিধা প্রদান করছে।

রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী আবাসন গড়তে নোয়াখালীর ভাসানচরে আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ১ হাজার ৪৪০টি ব্যারাক ও ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা।

যার পুরোটাই সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছে।

এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর তথ্য, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৭৪৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এ সময় ১৩৪টি দেশি এনজিও ৬৯৬টি প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যয় করেছে ১ হাজার ৩১৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

আর আন্তর্জাতিক ৫৫টি এনজিও ৩২৫টি প্রকল্পে ব্যয় করেছে ১ হাজার ৪৩৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা।চলতি মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত ১৯টি এনজিও ২৭টি প্রকল্পে ব্যয় করেছে ৬৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

এ মাসে দেশীয় ১৪টি এনজিও ২২টি প্রকল্পে ব্যয় করেছে ৫৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা এবং পাঁচটি আন্তর্জাতিক এনজিও পাঁচটি প্রকল্পে ব্যয় করেছে ৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

এনজিও ব্যুরোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩০ হাজার ১২৭টি শেল্টার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৫৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

রোহিঙ্গাদের চিহ্নিতকরণসংক্রান্ত কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের একটি কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার বসবাসের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ক্যাম্প।

পাহাড় ও বন কেটে স্থাপন করা হয়েছে এসব আশ্রয় ক্যাম্পের অবকাঠামো। এ কারণে উজাড় হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার একর সংরক্ষিত বনভূমি। এতে ৩৯৭ কোটি ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯৩ টাকার সমপরিমাণ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়েছে। বনভূমি উজাড় করে রোহিঙ্গাদের জন্য ক্যাম্প গড়ে তোলা হয়েছে।

কক্সবাজার বন বিভাগ বলছে, স্থানীয় হিসাবে এই পরিমাণ জমির দাম দাঁড়ায় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা; যা সরকারের নিজস্ব সম্পত্তি।

এনজিও ব্যুরোর মতে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ব্যয়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় খাত হচ্ছে স্বাস্থ্য। এ খাতে স্বাস্থ্যযন্ত্র, সেবা এবং ওষুধে ব্যয় করা হয় অর্থ। খাদ্য সরবরাহে ব্যয় হয়েছে ১৭৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ করে ব্যয় হয়েছে ৪৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। কম্বলসহ শীতবস্ত্র বিতরণ হয়েছে ৮০ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। ৯৭ কোটি ১০ লাখ টাকার বিতরণ হয়েছে গৃহস্থালী সামগ্রী।

এছাড়া স্যানিটারি ল্যাট্রিন বিতরণ করা হয়েছে ৩২ হাজার ৬৫টি, বাথরুম ১৫ হাজার ৬৬০টি এবং টিউবওয়েল নির্মাণ করা হয়েছে ২২ হাজার ৩৮৬টি। যতই দিন যাচ্ছে চাহিদা এবং ব্যয় দুটোই বাড়ছে। এদিকে রোহিঙ্গা এলাকায় কাজ করতে চায় অনেক এনজিও।

তাই যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে এনজিও সংখ্যা এবং ব্যয়ের পরিমাণ। নতুন করে নিবন্ধন পেতে এনজিও ব্যুরোতে জমা পড়েছে শতাধিক আবেদন।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য ৯২০ মিলিয়ন ডলার সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। এই সাহায্যের বড় অংশ খরচ হবে খাবারের জন্য। কিন্তু এই অর্থ পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ বিগত বছরগুলোয় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আর্থিক সহযোগিতা আসেনি।

ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৯-এর জন্য গত ফেব্রুয়ারিতে জেনেভায় দাতাদের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য ৯২০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রাপ্তির জন্য জাতিসংঘ আহ্বান জানিয়েছিল।

আর এ পর্যন্ত এর মাত্র ১৪ শতাংশ অর্থাৎ ১৪৩ মিলিয়ন ডলারের মতো অর্থ সহায়তা প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। গত বছর ৯৫১ মিলিয়ন ডলার সহায়তা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৬৪ শতাংশ অর্থ পাওয়া গিয়েছিল।

শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক বিশ্লেষক আসিফ মুনীর বলেন, পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থার কারণে অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি মনোযোগ কমছে। পরিস্থিতি এমন চলতে থাকলে ভবিষ্যতে অর্থ সহায়তা প্রাপ্তি আরও কমে যেতে পারে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা সংকটের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনীতিকদের ব্রিফ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ ব্রিফ হবে।

এদিকে, গত ২২ আগস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্বিতীয় দফায় বন্ধ হওয়ার পর এই প্রথম কূটনীতিকদের সঙ্গে বসতে যাচ্ছে সরকার।

গত ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে পালিয়ে আসার দুই বছর পূর্তির দিনে হাজার হাজার রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে সমাবেশ করে। ২০১৭ সালের এই দিনটিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে প্রায় লাখখানেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল।

সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, নাগরিকত্ব ও দায়ীদের বিচারসহ অন্যান্য দাবি না পূরণ হলে তারা কখনই মিয়ানমারে ফিরবেন না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হয়নি। অথচ মিয়ানমার এখন বাংলাদেশকেই দুষছে।

বাংলাদেশ প্রত্যাবাসনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছিল। রোহিঙ্গাদের রাজি করাতে মিয়ানমারই ব্যর্থ হয়েছে। তারা নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানাতে চাই।

এ ছাড়া সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের সমাবেশ নিয়েও উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ। এ বিষয়ে যারা রোহিঙ্গাদের সংঘবদ্ধ করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। এসব বিষয় আলোচনায় থাকতে পারে বলে জানান তারা।