লকডাউনে চকরিয়ায় খাল দখল: ভাঙ্গনের মুখে মসজিদের কবরস্থান

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:


চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তে চকরিয়া পৌরসভা ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৮ নং ওয়ার্ডকে ৭ জুন থেকে ২১ জুন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

এ সুযোগে একদল ভূমিদস্যু লকডাউন এলাকা ডুলাহাজারা (৩ নং ওয়ার্ড) কাটাখালী জামে মসজিদের কবরস্থান ঘেঁসে জোয়ারভাটার খাল দখলের প্রচেষ্টা চালায়। এতে ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে মসজিদটির কবরস্থান। যেখানে চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পীরে কামেল শাহ মাওলানা আব্দুর রশীদ (রহঃ)।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী ও উলুবনিয়া এলাকার মাঝখানে অবস্থান ‘ডুলাহারছড়া’ জোয়ার-ভাটার খাল। খালের এক পাড়ে কাটাখালী জামে মসজিদের কবরস্থান এবং বিপরীত পাড়ে খালের ভেতর মাটি ভরাট করে চলছে অবৈধ দখল।

একটি প্রভাবশালী চক্র খাল দখল করে সেখানে বিশালাকার বোট তৈরির পায়তারা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, জোয়ার-ভাটার আবহমান সরকারি খাল দখলে নেতৃত্ব দিচ্ছে একই ইউনিয়নের (৪নং ওয়ার্ড) উলুবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলী আকবরের ছেলে কামাল উদ্দিন ও সাবেক মেম্বার জহির উল্লাহ’র ছেলে ছৈয়দ আহমদ। করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগে একদল ভূমিদস্যু ভাড়ায় এনে দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছে এ জবরদখল কাজ।

এদিকে মাটি ভরাট করে খালের অংশ যদি ভরাট করা হয় তাহলে পানি চলাচলে চরমভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে৷ এরই সাথে যে কবরস্থানে চিরশায়িত আছেন কক্সবাজারের সর্বজন শ্রদ্ধেয় পীরে কামেল আলহাজ্ব শাহ মাওলানা আবদুর রশিদ (রহঃ), সেই কাটাখালী জামে মসজিদের কবরস্থানটি ভাঙ্গনের ফলে খালে তলিয়ে যাওয়ার চরম আশঙ্কা রয়েছে।

দখলবাজরা ইতিপূর্বেও খালে মাটি ভরাট করে ও বেড়িবাধ দিয়ে সিংহভাগ জায়গা দখলে নেওয়ায় গত কয়েক বছরে খালের গতিপথ পরিবর্তন করে চলছে। ফলে খালে পানির প্রবল শ্রুতে নিকটস্থ কাটাখালী জামে মসজিদের কবরস্থান, মসজিদ, শাহ্ মজিদিয়া হাফেজখানা ও এতিমখানা ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। এলাকার লোকজন ও পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে বার বার বাধা দিলেও তারা কোনপ্রকার কর্নপাত করছিল না।

এ ব্যাপারে কাটাখালী জামে মসজিদের সভাপতি মাওলানা আ.ক.ম ছাদেক বলেন, কয়েকদিন আগে থেকে মসজিদের কবরস্থান সংলগ্ন খালের বিপরীত পাড় ভরাট করা হচ্ছিল। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবগত করা হলে তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করে জড়িতদের নিষেধ করে দেন।

ডুলাহাজারা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, খালে মাটি ভারাট করে খাল দখলের চেষ্টা চলছে।

এতে খালটির অপর পাড়ে কবরস্থানটি ভাঙ্গনের মুখে পড়বে এমন খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে জড়িতদের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

ভবিষ্যতে খালে কোনপ্রকার মাটি ফেলা হয় তাহলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।