লকডাউনে বেকায়দায় বাইশারীর ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকরা

মুফিজুর রহমান, নাইক্ষ্যংছড়ি •

কোভিট-১৯ সংক্রমন রোধে সারা দেশে সরকার ঘোষিত লকডাউনে বেকায়দায় পড়েছে পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালকরা। দুইজন যাত্রী বহনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দিনশেষে পর্যাপ্ত আয় হচ্ছে না তাদের।

শনিবার দুপুরে বাইশারীর ত্রিমহনি চত্বর ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল শূন্য দেখা যায়। ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লকডাউন শিথিল হলেও মোটর সাইকেলের নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়ে গেছে। একজন যাত্রী ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালিয়ে দিনশেষে তেলের টাকাও উঠছে না। এ অবস্থায় গাড়ীর মালিকের টাকাও উঠছে চালকদের ঘাড়ে।

এ বিষয়ে বাইশারীর ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক নুর হোসাইন জানান, করোনা সংক্রমন রোধে সরকারের বিধি-নিষেধ মানতে গিয়ে জীবন-জীবিকা নিবার্হ কঠিন হয়ে পড়ছে। গ্রাম-অঞ্চলের মানুষরা দুইজনের ভাড়া একসাথে একজনে আদায় করে না। অনেক সময় যাত্রীদের সাথে ঝগড়াও লেগে যায়। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুইজন যাত্রী বহনের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবী জানান চালকরা।

বাইশারীতে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল আবিস্কারক মুন্সি মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চল বাইশারীতে বেকারত্ব দূরিকরণে ২০০৮ সালে প্রথম ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল নিয়ে যাত্রীসেবা শুরু করি। আমর দেখাদেখি বর্তমানে শতশত যুবক তাদের বেকারত্ব দূরিকরণে মোটর সাইকেল ভাড়ায় নিয়ে যাত্রীসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বাইশারীর মানুষদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠে এই বাহনটি। বাইশারীতে ভাড়ায় মোটর সাইকেল নিয়ে যাত্রীসেবা শুরু হওয়ার পর আস্তে আস্তে পুরো নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সহ পাশের রামু উপজেলাও বিস্তিৃত হয়ে যায় মোটর সাইকেল নিয়ে যাত্রীসেবা। বর্তমান করোনা সংক্রমন রোধে যাত্রীবহনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সংসারের হাল ধরা যুবকরা বেকায়দায় রয়েছে।

বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি) এমদাদুল হক ভূইয়া জানান, কোভিট-১৯ সংক্রমন রোধে সারাদেশে চলমান লকডাউনে মোটর সাইকেলে দুইজন যাত্রী বহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তিনি আরো বলেন- করোনা সংক্রমন রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মসজিদ গুলোতে মুসল্লিদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। করোনা সংক্রমন রোধে পুলিশ প্রশাসন কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহন করেছে এবং তা বাস্তবায়ন হচ্ছে।