শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে চকরিয়া পৌর নির্বাচন: প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দৌড়ঝাঁপ

রাজু দাশ, চকরিয়া •


ভোট চাই ভোটাদের দোয়া চাই সকলের” এই শ্লোগানে শ্লোগানে প্রার্থীদের ভোটাদের বাসা বাড়ীতে পায়ে হেঁটে কর্মীদের সাথে নিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা। শেষ মুহূর্তে ব্যাপক প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে পৌর শহর।

আগামী (২০ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে চকরিয়া পৌরসভার ভোটগ্রহণ। প্রথমবারের মতো ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট দেওয়ার স্বাদ গ্রহণ করবেন।

সরেজমিনে পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পৌর এলাকায় এখন নির্বাচনি হওয়া বাইছে। প্রার্থীরা লিফলেট বিতরণ, পোস্টার সাঁটিয়ে, ব্যানার টানিয়ে ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচনি মাঠে নিজেদের প্রার্থী হওয়ার খবর জানাচ্ছেন।

প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও চলাচ্ছেন জোর প্রচার-প্রচারণা। পাড়া-মহল্লার চায়ের দোকানও জমে উঠেছে নির্বাচনি আলোচনায়। নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর তৃণমূল নেতাকর্মী ও ভোটারদের মধ্যেও বিরাজ করছে উৎসাহ উদ্দীপনা। নির্বাচনি প্রচারণায় পিছিয়ে নেই কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। তারাও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করছেন। পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, সড়কে, মোড়ে, প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত পোস্টার শোভা পাচ্ছে। টানানো হয়েছে ব্যানারও। গান বাজনার মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীর সমর্থকরা।

ভোটাররা বলছেন, তারা চান ভোটের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। যাতে সবাই ভোট কেন্দ্রে দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।

পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চারজন হলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, নাগরিক কমিটি মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াবুল হক (নারিকেল গাছ), জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী মনোয়ার আলম (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট ফয়সাল সিদ্দিকী (কম্পিউটার)। পাশাপাশি ভোটের মাঠে লড়াই নেমেছেন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে তিন ওয়ার্ডে ১৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯ ওয়ার্ডে ৪১ জন। সব মিলিয়ে ৩ পদে মোট ৫৫ জন ভেটের জন্য রাত দিন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন সমর্থকরা।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য পরিবেশে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণার সময় প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, তাও কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানান।