এক সন্ত্রাসী আটক

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর গুলি ও ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারালো স্থানীয় যুবক!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল •


বহু অপকর্মের আস্তানা খ্যাত টেকনাফের হ্নীলা ইউপির অন্তর্গত সেই আলোচিত লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন নুরালী পাড়া পাহাড়ী এলাকায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইমান হোসেন নামে স্থানীয় এক যুবক নিহত হয়েছে।

স্থানীয় জনগনের কাছ থেকে তথ্য সূত্রে জানা যায়,
১১ এপ্রিল (রবিবার) রাত ৯টার দিকে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসকারী আবুল হোসেন’র পুত্র খালেক নামে চিহ্নিত এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিজেদের আধিপত্য বিস্তার এবং তাদের অপরাধ কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার জন্য পুর্ব শত্রুতার জের ধরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উক্ত এলাকার স্থানীয় যুবক ইমান হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাঠিতে পড়ে যায়।

এরপর অস্ত্রধারী ডাকাত খালেক তার ভাই গুরা পুতিয়া ও তাদের সহযোগী সৈয়দ নুরসহ বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মিলে ইমান হোসেকে পুণরায় ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে আরো জানাযায়,
গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত যুবক ইমান হোসেনও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে ক্যাম্পের ভিতরে এবং বাহিরে নানা অপকর্মে জড়িত ছিল।

এদিকে সংঘটিত ঘটনার খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) হাফিজুর রহমান’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।

গুলিবিদ্ধ যুবকের হচ্ছে, হ্নীলা ৮নং ওয়ার্ড লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার আব্দুর রহিমের পুত্র।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে (ওসি) হাফিজুর রহমান কক্সবাজার জার্নালকে বলেন, সংঘটিত ঘটনার খবর শুনে পুলিশের একটি দল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে ক্যাম্পে কর্মরত (এপিবিএন) পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত এক সন্ত্রাসীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশের অভিযান এখনো অব্যাহত আছে।

তিনি আরো বলেন উদ্ধারকৃত মৃতদেহটির ময়না তদন্ত রিপোর্ট তৈরী করার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করার প্রস্তুতি চলছে।