সিনহাকে আরো দুই গুলি করল কে?

সময় টিভি ◑

কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর নিহত সিনহা মো. রাশেদ খানের শরীরে পুলিশের হিসাবের চেয়ে দুটি বেশি গুলির আঘাত ছিল। সিনহা ময়নাতদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

ঘটনার পর টেকনাফ থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত এজাহারে উল্লেখ করেন, সিনহার শরীরে চারটি গুলি আঘাত রয়েছে। কিন্তু কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে সিনহার সুরতহাল প্রতিবেদন করেন এসআই মো. আমিনুল ইসলাম।

ওই প্রতিবেদনে লেখা রয়েছে, সিনহার ‌বাঁ পাশে কাঁধের নিচে গভীর রক্তাক্ত জখম একটি, বাঁ কোমরের ওপর একটি, বাহুতে একটি, বাঁ পাঁজরে একটি, পিঠের পেছনে একটি এবং কোমরের ভেতরে একটিসহ মোট ছয়টি গুলির চিহ্ন রয়েছে।

এসআই মো. আমিনুল ইসলাম নিয়ম অনুযায়ী, যে অবস্থায় মৃতদেহটি পেয়েছেন, তার বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন। এই সুরতহাল করার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মর্গের কর্মী আহামদ কবির মনু।
এসআই আমিনুল ইসলাম বুধবার (০৫ জুলাই) গণমাধ্যমকে বলেন, ৩১ জুলাই দিনগত রাত দেড়টার দিকে তিনি মৃতদেহটির সুরতহাল করেন। যেখানে যে জখম পেয়েছেন, সেভাবেই লিখেছেন। তিনি ছয়টি গুলির আঘাত পেয়েছেন।

এদিকে সিনহার এ ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। গঠিত তদন্ত কমিটির উপর আস্থার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান কারো পক্ষে বা বিপক্ষে যাবে না।

এদিকে, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, উষ্কানি দিয়ে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর সম্পর্ক নষ্ট করা যাবে না। কারো প্রভাবে নয়, অপকর্মের দায় নির্ধারিত হবে আইনিভাবে। বুধবার (০৫ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজারে যৌথ ব্রিফিং এ কথা বলেন তারা।

কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহার মৃত্যুর বিবরণ নিয়ে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর মাঠ পর্যায়ে পরস্পর বিরোধী বিবরণের সমাধানে চলছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে। এরমধ্যে একই হেলিকপ্টারে উড়ে কক্সবাজার উড়ে গেলেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।

দুই বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত আর দুই বাহিনীর সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেন। সেনাপ্রধান বলেন, সম্পর্কে চিড় ধরে এমন কোনো কাজ দুই বাহিনী করবে না।