সেন্টমার্টিনে সন্ত্রাসী হামলা: আহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক •

টেকনাফের সেন্টমার্টিনে সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের ৪জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

গত ১২ জুন (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টায় রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল রােড এলাকা ও রাত ৯টার দিকে কোনার পাড়া বায়তুল জান্নাহ জামে মসজিদের সামনে দুই দফায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

গুরুতর আহতরা হলেন, কোনার পাড়া এলাকার হাজী আবদু সালামের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৫৫), মেয়ে হাসিনা খাতুন (৩০), দুই ছেলে মোঃ ঈসমাইল (২২) ও মােঃ তৈয়ব (২৬)।

এ ঘটনায় আহতের পরিবারের জাহিদ হােসেন বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়েরের পর ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, আবদুস শুক্কুর ফকিরের ছেলে আব্দুর রহমান ও ওসমান গণির ছেলে মোঃ নোহাস।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গুরুতর আহত ইসমাঈল মধ্যম পশ্চিম পাড়া এলাকার টমটম চালক মােহাম্মদ কামালের গাড়িতে করে হাসপাতাল সড়ক থেকে কোনারপাড়া যেতে চাইলে টমটম চালক তাকে গাড়িতে না তুলে উলটো বাকতিবন্ডা শুরু করে। একপর্যায়ে চালক কামাল ও গাড়িতে থাকা অন্য যাত্রী পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আব্দুস শুকুরের ছেলে ওসমান গণি মিলে ঈসমাইলের উপর হামলা চালিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।

বিষয়টি ঈসমাইলের মা জানতে পারলে একই দিন সন্ধ্যায় টমটম চালক ও তার সঙ্গীর কাছ থেকে ছেলেকে মারার কারণ জানতে চাইলে তারা আরও বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং কথা কাটাকাটি ও মারার ধমক দিয়ে বাড়িতে দিকে নিয়ে মা-বোনের উপর হামলা চালায়। একসময় মা-বোনের শৌর চিৎকার শুনে ঈসমাইলের বড় ভাই তৈয়ব এগিয়ে আসলে তাকেও বেড়ধক করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়।

পরবর্তীতে বিরােধের জের ধরে একই দিন রাতে ঈসমাইলের বড় ভাই তৈয়ব মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আব্দুর রহমান, মােঃ নােহাস ও ওসমান গণি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মোটর সাইকেল দিয়ে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং সেই সুযোগে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা অপরাপর সন্ত্রাসীরা মােহাম্মদ রিয়াজ, ওসমান গণি, শফিউল গণি, মােহাম্মদ ফারুক ও মােহাম্মদ কামাল মিলে দা, ছুরি, লাঠি ও লােহার রড দিয়ে উপর্যোপরী আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে মসজিদের নামাযীরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের কাছে খবর পাঠায় এবং তাকে দ্রুত উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রোগীর অবস্থা আশংকাজনক দেখে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে। বর্তমানে সে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

এ ব্যাপারে বাদী জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আসামিপক্ষের লোকজন নানানভাবে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা অসহায় নিরীহ মানুষ, নিরাপত্তাহীনতায় আছি এবং এ হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় জাহিদ হোসেন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে নোহাস ও কামাল নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে।