রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের শান্তিপূর্ণ বসবাসে সমাধান খুঁজতে হবে -অভিনেতা তাহসান

ফারুক আহমদ, উখিয়া •


ইউএনএইচসিআর শুভেচ্ছাদূত দেশের জনপ্রিয় শিল্পী তাহসান খান বলেছেন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর একটি বিশ্বব্যাপী সংস্থা যা জীবন বাঁচাতে, অধিকার রক্ষা করতে এবং শরণার্থী, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায় এবং রাষ্ট্রহীন লোকদের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তুলতে নিবেদিত ।

সহিংসতা, নিপীড়ন, যুদ্ধ বা বিপর্যয় থেকে পালিয়ে বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার এবং নিরাপদ আশ্রয় পাওয়ার অধিকার প্রত্যেকের আছে তা নিশ্চিত করার জন্য সংস্থাটি কাজ করছে।

গতকাল ২০ জুন সোমবার বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের উখিয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশের অভিনেতা তাহসান আরো বলেন, উখিয়া-টেকনাফে ৩৩ টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া ৯ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করে।

এ সময় উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাঈদ মোহাম্মদ আনোয়ার , সাধারণ সম্পাদক রতন দে, সাবেক সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক ফারুক আহমদ , যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আমানুল হক বাবুল নূর মোহাম্মদ সিকদার ও পলাশ বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইউএনএইচসিআরের দূত আরো বলেন উখিয়ার মানুষ, বিশ্বকে দেখিয়েছেন মানবতা কাকে বলে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আমরা সবাই একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারি” সেটি সবার কাছে কামনা করেন ।

এর আগে সকালে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার শুভেচ্ছা দূত কণ্ঠশিল্পী তাহসান খান রোহিঙ্গা চিত্রশিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী এবং ফটোগ্রাফার সহ তরুণ তরুণী সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন । উদ্বাস্তুরা ব্যক্ত করেছিল যে কীভাবে সহিংসতা ও নিপীড়ন তাদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত হয়েছিল তা ধৈর্য সহকারে শোনেন । এসময় রোহিঙ্গারা নিজ দেশের জাতীয়তা বোধ সংস্কৃতি ও অধিকার নিয়ে ফিরে যাওয়ার কথা ব্যক্ত করেন।
পরে ক্যাম্প রোহিঙ্গা শিশুদের এক প্রতিভা প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তিনি।

এ সময় ইন-চার্জ মাহফুজুর রহমান, ইউএনএইচসিআরের কক্সবাজার অফিসের প্রধান ইটা শুয়েট উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিভা প্রতিযোগিতায় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের স্বদেশের কথা স্মরণ করে ঐতিহ্যবাহী লোকগান গেয়েছিল এবং তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে সহযোগিতা কামনা করেন।

একই দিন দুপুর ২ টায় ইউএনএইচসিআর-এর শুভেচ্ছা দূত তাহসান খান উখিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রোহিঙ্গা শরণার্থী উদ্বেগ ও আশা জাগানোর পাশাপাশি একটি গানও শুনান তিনি। এসময় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত কুমার পাল ও অধ্যাপক তহিদ উপস্থিত ছিলেন।