স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের অবস্থানে আতংকিত হ্নীলার রঙ্গিখালীবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক •


প্রশাসনের অভিযানের মুখে ফেরারী থাকা মাদক কারবারী,সন্ত্রাসী,অপহরণকারী এবং মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের সদস্যরা প্রকাশ্যে রঙ্গিখালী ষ্টেশনে গুলিবর্ষণ করে এলাকায় আতংক সৃষ্টির পর তাদের অবস্থান জানান দেয়। এরপর হতে উক্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে স্বশস্ত্র অবস্থানে থাকায় নিরীহ সাধারণ মানুষ আতংকে রয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রশাসনের দ্রুত অভিযানের দাবী জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

এলাকাবাসী সুত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার হ্নীলা রঙ্গিখালী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরধরে সৃষ্ট শফিক মেম্বার ও আবুল আলম গংয়ের গ্রুপিংয়ের কারণে হত্যা, খুন, জবরদখল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত এলাকায় আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযানের মুখে ফেরারী হয়ে যায় অনেকে। এরফলে নিরীহ সাধারণ মানুষের জীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।

গত ১৫ আগষ্ট বিকালের দিকে আবুল আলম গ্রুপের স্বশস্ত্র সক্রিয় সদস্য গাজী পাড়ার মরহুম আব্দুল মজিদ প্রকাশ ভোলাইয়া বৈদ্যের পুত্র শাহ আলম (৩৬), সাবের আহমদের পুত্র নুরুল হুদা ওরফে ওদুইল্যা (৪০), নুরুল আবছার (২৫), নুর আহমদের পুত্র আব্দুল হাকিম (৩৮), নাজির হোছনের পুত্র মোঃ হোছন ওরফে কালাইয়া (৩৪), গাজী পাড়ার মৃত গুরা মিয়ার পুত্র শুক্কুর প্রকাশ শিয়াইল্যা (৩২), কবির আহমদের পুত্র নুরুল আমিন (৪০) এবং পূর্ব রঙ্গিখালীর মীর কাশেমের পুত্র আক্তার হোছন কালু (৩৫) সহ ২০/২৫ জনের স্বশস্ত্র একটি গ্রুপ পশ্চিম পাহাড়ে দিক হতে এসে প্রতিপক্ষ গ্রুপের রঙ্গিখালী ষ্টেশনে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করতে করতে উত্তর আলীখালী হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প হয়ে পাড়ার দিকে চলে যায়। এঘটনার পর পরই পরদিন সকাল হতে এসব স্বশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা পুরো রঙ্গিখালী এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আছে। হামলার ভয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন সর্তক অবস্থানে থাকলেও নিরীহ সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে জিম্মি অবস্থায় অস্ত্রধারীদের সামনে চলাফেরা করতে হচ্ছে বলে ভূক্তভোগীদের দাবী।

উল্লেখ্য, পাহাড়ে অবস্থানকারী এসব গ্রুপের হাতে আলীখালীর নুরুল আলম অদাইয়াকে অপহরণ করে ২০দিন আটকে রেখে ২২ লাখ টাকা, জুম্মা পাড়ার মোঃ আলমকে ৮দিন আটকে রেখে ১০লাখ টাকা, উলুচামরীর জিয়াউর রহমানকে ১০দিন আটকে রেখে ৫লাখ টাকা, জুম্মা পাড়ার আবছারকে ৫দিন আটকে রেখে ৫লাখ টাকা, রঙ্গিখালীর দেলোয়ারকে ৭দিন আটকে রেখে ৬লাখ টাকা, জুম্মা পাড়ার জাফর আলমকে ৩দিন আটকে রেখে ২লাখ টাকা, মোচনী ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গাকে ৭দিন আটকে রেখে ৬ লাখ টাকা, লেদা ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গাকে ৫দিন আটকে রেখে ৫লাখ টাকা, বাহারছড়া বড় ডেইলের মনির উদ্দিনকে ৮দিন আটকে রেখে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে।

এসব ঘটনায় উপরোক্তদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা নং-১১, জি.আর ২৩৭ রুজু করেন, ০৫/০৪/২০১৫ইং তারিখ মামলা নং-৭৬, জি.আর ৩০২, ২৫/০৪/২০১৫ইং তারিখ মামলা নং- ১০, জি.আর ৬৪৫, মামলা নং ৪৫ (৪) ১২,তারিখ ২৫/০৬/১২, মামলা নং- ৪৭(০৪) ১৩, দঃ বিঃ অভিযোগ নং-৩০২, তারিখঃ ৫২ (০৪) ১৩, দঃ বিঃ অভিযোগ নং- ৩০৩, তারিখ ২২/০৭/১৩, মামলা নং ৬৪ (১১) ১২, তারিখ,৩০/০৪/১৩ইং মামলা নং-৬৩(১১) ১২, তারিখ ২২/০৯/১২, মামলা নং ৬৪ (১১) ১২ অভিযোগ নং- ৩০৭, তারিখ ২৩/০৬/২০১৩, মামলা নং ২৬(০৬)১৩৩, মামলা নং- ১১(০৫)১৩, মামলা নং- ০৭(০৯)১৩, টেকনাফ থানার মামলা নং ১২(১০)১২,মামলা নং- ৪৫/(০৪)১২, তারিখ ২৫/০৬/১২, মামলা নং ৪৭(৪)১২,অভিযোগ নং-৩০২,তারিখঃ ২২/০৬/১৩,মামলা নং-(১১)১২, অভিযোগ নং-২৩, তারিখ-২৪/০১/১৩, মামলা নং-৫২(৪০)১৩, অভিযোগ নং-৩০৩, তারিখ-২২/০৭/১৩, মামলা নং-৬৪(১১)১২, অভিযোগ নং-১৯৭, তারিখ-৩০/০৪/১৩ মামলা নং-৬৩(১১)১২, অভিযোগ নং ৩৬৪, তারিখ ২২/০৯/১২, মামলা নং ৬৪ (১১) ১২,অভিযোগ নং-৩০৭, তারিখ ২৩/০৬/১৩, মামলা নং ১৮ (১৩)১১,অভিযোগ নং-৭৬৩,তারিখ ২১/১১/১২,জি.আর ১৪২/২০০৩ (টেকনাফ),মামলা নং-১১(০৫)১৩, মামলা নং- ০৭(০৯)১৩ এবং হত্যা,অস্ত্র,ডাকাতি, মাদক ও রাহাজানিসহ অনেক মামলা রয়েছে।

তাই উক্ত এলাকায় সাধারণ মানুষের অবাধে চলাচল এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে দ্রুত অভিযান পরিচালনার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।