স্বামী থাকার পরও বিয়ে!

চট্টগ্রাম •

কখনো মিনু আক্তার, কখনো নাছমিন আক্তার সিমু। আবার কখনো মোছাম্মৎ ফাতেমা খাতুন। জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে ৩ টি। সিম কার্ড রয়েছে ১০ থেকে ১২ টি। একেক সময় একেক রুপ ধারণ করে প্রতারণার আশ্রয় নেন তিনি। মোটা অংকের দেনমোহর ঠিক করে বিয়ে করে চলেন। এমনই প্রতারণার শিকার হয়েছেন বায়েজিদের রুবি গেইটের বাসিন্দা ও প্রবাসী মো. ইমাম হোসেন (৩৮)। ইমাম হোসেনের সাথে বিয়ে বলবৎ থাকার পরও বিয়েতে জড়ান মিনু।

এ ঘটনায় গতকাল বুধবার মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে মিনুসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন মো. ইমাম হোসেন। বাকী দুজন হলেন মোস্তফা জামিল ও রাশেদ। একপর্যায়ে আদালত অভিযোগটি গ্রহণ করেন এবং বায়েজিদ থানাকে অভিযোগটি এজহার হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।

মিনু আক্তার রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি থানার মারিশ্যা এলাকার আলী আহমদের মেয়ে। বর্তমানে থাকেন ঢাকার গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায়। বাদীর আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমার মক্কেলের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। আর্থিকভাবে এবং মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও অনেকের সাথে মিনু আক্তার নানা নামে প্রতারণা করেছেন। আদালতের কাছে অভিযোগ আকারে সবকিছু তুলে ধরা হয়েছে। আদালত বায়েজিদ থানাকে এজহার হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে করা এজহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের জুন মাসে মিনু আক্তারকে ১০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্যে বিয়ে করেন ইমাম হোসেন। কিছুদিন যেতেই মিনুর মধ্যে পরিবর্তন দেখা দেয়। নিষেধ করলে কথা শুনতো না। এর মধ্যে বিদেশে পাড়ি দিতে হয় তাকে। এর মধ্যে মিনু (২০২০ সালে) নাছমিন আক্তার সিমু নাম ধারণ করে মামলার দুই নম্বর আসামিকে বিয়ে করেন। মোস্তফা জামিল জেনে শুনেই তাকে বিয়ে করেন। এছাড়া রাশেদের সাথে ৪ বছর ধরে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন মিনু আক্তার।

বর্তমানে ফাতেমা আক্তার নাম ধারণ করে ঢাকার আশুলিয়ার সাদা সোয়েটার লিঃ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন মিনু আক্তার উল্লেখ করে এজহারে আরও বলা হয়, গত ২০ আগষ্ট ইমাম হোসেন বিদেশ থেকে ফিরে আসেন। একপর্যায়ে তাকে এসব সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনিউল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসানো ও হত্যার হুমকি দেন। গত ৬ সেপ্টেম্বরেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করেন তিনি।