স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে, খুন করে যুবক চম্পট

চট্টগ্রাম •

চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরে একটি আবাসিক হোটেল থেকে আনুমানিক ২৫-৩০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের জেভকো প্লাজার রোড উড আবাসিক হোটেলের ৮০২ নম্বর কক্ষ থেকে হতভাগ্য ওই মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় হালিশহর থানার এসআই সৈয়দ মাইন উদ্দিন আহমদ ফয়সাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে শুক্রবার বিকেলে হালিশহর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ নিহত মহিলা ও আসামির পরিচয় উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে হোটেল বুকিং দিয়ে বিকেল সোয়া ৪টায় কামরুল হাসান নাম দিয়ে অজ্ঞাত এক যুবক স্ত্রী পরিচয় দেওয়া নারীকে নিয়ে হালিশহর এক্সেস রোডের রোজ উড আবাসিক হোটেলের ৮০২ নম্বর কক্ষে উঠেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হোটেল কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায় ওই যুবক। এরপর হতে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ওই কক্ষ থেকে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পরে হালিশহর থানা পুলিশ ওই কক্ষ থেকে অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, মূলত কামরুল হাসান নাম দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি কার্ড) ফটোকপি দেখিয়ে হোটেলে উঠে। স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেল কক্ষে প্রবেশের পর গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করে ওই মহিলাকে খুন করে। এরপর ওই যুবক নিজের পরণের শার্ট প্যান্ট, টুপি পাল্টিয়ে অন্য পোশাক পড়ে হোটেল কক্ষ ত্যাগ করে।

হালিশহর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের রোড উড আবাসিক হোটেল থেকে অজ্ঞাত মহিলার রক্তমাখা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মহিলাকে গলায় পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত যুবক।’

ওসি বলেন, ‘কেন কি কারণে হত্যা করা হয়েছে, আপাতত তা জানা যায়নি। তবে হত্যাকারীকে চিহ্নিত করতে হোটেল ও হোটেলটির আশেপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, যে ড্রেসে ওই যুবক হোটেলে প্রবেশ করেছিল, বের হওয়ার সময় সে ড্রেসে ছিল না। মূলত মহিলাকে খুন করে সে কাপড় পাল্টিয়ে হোটেল কক্ষ ত্যাগ করেছে। হোটেলে কামরুল হাসান পরিচয় দিয়ে যে এনআইডি কার্ড জমা দিয়েছিল সেটি ভুয়া। হোটেল কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল, এনআইডি যাচাই বাছাই করে তাদের হোটেলে ঢুকতে দেওয়া। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে চিহ্নিত ও গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’