চকরিয়ায় স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে এতিম তিন শিশু নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে দিনমজুর আমির হোসেনের স্ত্রী’র

এ কে এম ইকবাল ফারুক,চকরিয়া

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিচারের কথা বলে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে আমির হোসেন (৪৫) নামে এক দিনমজুরকে হত্যার ঘটনা ৬দিন অতিবাহিত হলেও এখনো গ্রেপ্তার হয়নি খুনিচক্রের কোন সদস্য।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর থেকে মামলা তুলে নিতে আসামীদের অব্যাহত হুমকির মুখে এতিম তিন শিশু সন্তান নিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটছে দিনমুজুর আমির হোসেনের স্ত্রী ছকিনা ইয়াসমিনের। রবিবার (২৯ মে) বিকালে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের এসব অসয়াত্বের কথা তুলে ধরেন ছকিনা ইয়াসমিন। পরে খুনি চক্রের সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়ে সংক্ষিপ্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় এলাকাবাসি।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত দিনমুজুর আমির হোসেনের স্ত্রী ছকিনা ইয়াসমিন বলেন, বিচারের কথা বলে ডেকে নিয়ে গত ২৩ মে দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ড ডুমখালী এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে আমার স্বামী আমির হোসেনকে হত্যা করে বনের ত্রাস হিসেবে খ্যাত আবদুর রহমান বাহিনীর সদস্যরা।

সদ্যসমাপ্ত ইউপি নির্বাচনের ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর ও ইউপি সদস্য আব্দুস সালামের নির্দেশে তাদের সামনেই সন্ত্রাসী আবদুর রহমান ও সালাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে দূবর্ৃত্তরা ধারালো কিরিছ দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে আমার স্বামী আমির হোসেনকে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনার একদিন পর স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদরকে প্রধান আসামী ১০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরো ১২জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী দেখিয়ে থানায় এজাহার দিলেও পুলিশ তা মামলা হিসেবে এন্টি করতে গড়িমশি করে। পরে মামলা নিলেও আসামীদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। ফলে আসামীরা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করে বীরদর্পে এলাকায় ঘুরাঘুরি করছে।

ছকিনা ইয়াসমিন অভিযোগ করেন, স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা ওই মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। ফলে এতিম তিন শিশু সন্তান নিয়ে এখন আমি আতঙ্কে দিনাতিপাত করছি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের উর্ধতন কতর্ৃপক্ষের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নিহত দিনমুজুর আমির হোসেনের বিধবা স্ত্রী ছকিনা ইয়াসমিন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমির হোসেন হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করি অবিলম্বে এসব আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।